রবিবার ২০ জেলার মোট ২ হাজার ১৭১টি ওয়ার্ডে কোভিড বিধি মেনে সকাল সাতটা থেকে ভোটগ্রহণ হবে। অবাধ ও শান্তিপূর্ণ ভোট করাতে আঁটোসাটো নিরাপত্তা ব্যবস্থা কমিশনের। নিরাপত্তার দায়িত্বে ১৭ জন ডিআইজি পদমর্যাদার অফিসার। হাইকোর্টের নির্দেশে বাড়ানো হয়েছে পর্যবেক্ষকের সংখ্যাও। ১০ জন আইএএস কর্মকর্তাকে ‘বিশেষ পর্যবেক্ষক’ হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে। নিরাপত্তার ক্ষেত্রে কোনও গাফিলতি বরদাস্ত করা হবে না বলে বিশেষ পর্যবেক্ষকদের বৈঠকে বার্তা দেওয়া হয়েছে। শনিবার সকাল থেকেই রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দপ্তরে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। ভোট পরিচালনার দায়িত্বে ৪৪ হাজার পুলিশকর্মী মোতায়েন করা হয়েছে। ১০৮ পুরসভায় মোট প্রার্থীর সংখ্যা ৮ হাজার ১৬০ জন। ভোটারের সংখ্যা ৯৫ লক্ষের বেশি।
advertisement
এরমধ্যে উত্তরবঙ্গের ১৯টি পুরসভা রয়েছে। সেখানে সর্বত্রই শেষ প্রস্তুতি পর্ব। দার্জিলিং পুরসভার ৩২টি ভোটকেন্দ্রে ভোট গ্রহণের জন্য শনিবার দার্জিলিং গভর্নমেন্ট কলেজের ডিসিআরসি থেকে ভোটগ্রহণকেন্দ্রে রওনা হন ভোটকর্মীরা। অন্যদিকে, কোচবিহার জেলার পাঁচটি পুরসভাতেও নির্বাচন হতে চলেছে। তার আগে এদিন কোচবিহারের নৃপেন্দ্রনারায়ণ হাইস্কুলের ডিসিআরসি থেকে ভোটকর্মীদের ভোটের সামগ্রী তুলে দেওয়া হয়।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, কোচবিহারের ২০টি ওয়ার্ডে ভোট হচ্ছে। জলপাইগুড়ি প্রসন্নদেব মহিলা মহাবিদ্যালয়ে তৈরি হয়েছে ডিসিআরসি। এখান থেকেই ভোটকর্মীরা ইভিএম এবং ভোটের নথি সংগ্রহ করে বুথে রওনা দেন। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, জলপাইগুড়ি পুরসভা এলাকায় মোট বুথের সংখ্যা ১১১টি। ভোট পরিচালনার জন্য থাকছেন প্রায় ৫০০জন ভোটকর্মী। অপরদিকে, পুলিশি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তৎপর জেলা প্রশাসন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতিটি বুথ এলাকায় একজন করে এএসআই সহ বেশ কয়েকজন কনস্টেবল থাকছেন।
ভোট রয়েছে দক্ষিণ দিনাজপুরে গঙ্গারামপুরেও। গঙ্গারামপুর পুরসভায় ১৮টি ওয়ার্ডের মোট ভোটার সংখ্যার ৪৬,৩৩৭ জন। মোট ৫৯টি বুথে ভোটগ্রহণ হবে। এবার গঙ্গারামপুর পুরভোটে প্রায় ৩৫০ জন পুলিশকর্মী মোতায়েন থাকছেন। তার মধ্যে শতাধিক মহিলা পুলিশকর্মী রয়েছেন। থাকবেন ৫ জন ইনস্পেক্টর। এসআই, এএসআই মিলিয়ে থাকছেন ৭০ জন। এছাড়াও আর্মফোর্স, কুইক রেসপন্স টিম এবং প্রতিটি বুথে একজন অফিসার থাকবে। গঙ্গারামপুরে স্টেডিয়ামে ডিসিআরসি খোলা হয়েছে। এদিন সকাল থেকে ভোটকর্মীরা স্টেডিয়ামে হাজির হন। বেলা বাড়তে সেখান থেকে ভোটকর্মীরা ইভিএম মেশিন সহ ভোটের সরঞ্জাম নিয়ে বুথের উদ্দেশে রওনা হন। বালুরঘাটেও ভোটের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। অন্যদিকে, মালদহ জেলার ইংরেজবাজার ও পুরাতন মালদহ পুরসভাতেও ভোটগ্রহণের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। দুই পুরসভা মিলিয়ে বুথ রয়েছে ২৬৯টি। মোট ভোটার ১০ লক্ষ পাঁচ হাজার ৪৪৪ জন। মোট ১৩৪২ জন ভোটকর্মীকে নিয়োগ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলাশাসক রাজর্ষি মিত্র।
উল্লেখ্য, এই ১০৮ পুরসভার ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী দাবি করেছিল বিজেপি। হাইকোর্ট অবশ্য রাজ্য কমিশনের দিকেই বল ঠেলে দেয়। কমিশনও জানিয়ে দেয় কেন্দ্রীয় বাহিনী নয়, রাজ্য পুলিশেই আস্থা তাঁদের। এরপর সুপ্রিম কোর্টেও যায় বিজেপি। কিন্তু শীর্ষ আদালত হাইকোর্টের রায়ই বহাল রাখে।
Vaskar Chakraborty