চা বাগানে প্রকৃতির মাঝেই রাত কাটাতে পারবেন পর্যটকরা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চা বাগানগুলিতে হোম স্টে তৈরির প্রস্তাব রেখেছিলেন। এখন সেটাই বাস্তবায়িত হচ্ছে। ক্ষুদ্র চা চাষিদের নজর এখন চা বাগানের মধ্যে ভ্রমণদুয়ার খোলার। সেই হোমস্টের মধ্যে খাবার সুব্যবস্থা থাকবে। শুধু তাই, তা হলে প্লাস্টিক মুক্ত। এই হোম স্টে-গুলিতে থাকলে কীভাবে চা তৈরি করা হয়, সেই বিষয়ে জানতে পারবে পর্যটকরা।
advertisement
আরও পড়ুনঃ অচেনা কারও হাতে আধার কার্ড দেননি তো? খুব সাবধান! হুগলির কাণ্ডে তোলপাড়
হোম স্টেকে বলা হচ্ছে 'টি প্ল্যান্টেশন হোম স্টে'। জলপাইগুড়িতে একশো'র বেশি ছোট, ক্ষুদ্র চা-বাগান রয়েছে। ক্ষুদ্র চা চাষি সমিতির সম্পাদক বিজয় গোপাল চক্রবর্তী বলেন, মধ্যবিত্ত বাঙালির জন্য চা বাগানের মধ্যে হোম স্টে প্রকল্প। রাজ্যের পর্যটন দফতরের পাশাপাশি তিনি ধন্যবাদ জানিয়েছেন রাজ্য সরকারকে।
চা বাগানের মধ্যে শুধু চা গাছ নয়। আরও বিভিন্ন রকম গাছপালা রয়েছে। নারকেল এবং সুপারি, গোলমরিচ, তেজপাতা, চা বাগানের চারপাশ দিয়ে ছড়িয়ে রয়েছে। বিকেল হলেই বিভিন্ন ধরনের পাখির আনাগোনা হয় বাগানে। সেই সুন্দর পরিবেশ পর্যটকদের মুগ্ধ করবে। এক পর্যটক বলেন, "অপরূপ প্রাকৃতিক পরিবেশ। সবুজের মধ্যে থাকার আলাদা মজা। দু-রাত্রি থাকলাম। খুব ভাল লাগল। জানতে পারলাম চা বাগানের শ্রমিকদের বিষয়। কীভাবে তৈরি করা হয় চা পাতা, কতটা পরিশ্রম হয় চা পাতা তৈরির জন্য জানলাম।"
সুরজিৎ দে