প্রায় ৪৮ থেকে ৫০ প্রজাতীর এখানে আসতো। বছরের অন্যান্য ঋতুতেও পাখিদের দেখা মিলত হামেশাই । তাই পাখির ডাকে ঘুমিয়ে, পাখির ডাকে জেগে ওঠায় দস্তুর হয়ে দাঁড়িয়েছিল পক্ষীরালয় সংলগ্ন খুকলুং রাভা বস্তি বাসিন্দাদের। কিন্তু বর্তমানে সেই ইকো পার্কের বেহাল অবস্থা। সংস্কার না করায় ঝিলের মধ্যে জমে রয়েছে প্রচুর কচুরিপানা আর এর ফলে পরিযায়ী পাখিরা এখানে আর ভিড় জমাচ্ছে না। এক সময় এই পাখি দেখতে ছুটে আসত উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পর্যটক, পাখিপ্রেমী এবং পাখি বিশেষজ্ঞরা।
advertisement
আরও পড়ুনঃ কিক বক্সিংয়ে ইতালিতে পদক জয় জলপাইগুড়ির প্রিয়াঙ্কার
কিন্তু বর্তমানে সেই পক্ষীরালয় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে পর্যটকদের জন্য। ঠিকমতো পাহারা নেই, যার ফলে একদিকে যেমন চোরা শিকারিরা মেরে নিয়ে যাচ্ছে পরিযায়ী পাখি। তেমনি বাড়ছে অসামাজিক কাজ পরিত্যক্ত কটেজগুলিতে। তৈরী করা কটেজ গুলির সমস্ত কিছু চুরি হয়ে গিয়েছে। নেই আসবাবপত্র, খাট, বিছানা। এমনকি জানালা, দরজাও খুলে নিয়ে গেছে নজর মিনারের। গোটা এলাকা জুরে পরে রয়েছে প্লাস্টিকের গ্লাস, থালা, মদের বোতল।
আরও পড়ুনঃ দু'বছর পরে উত্তরবঙ্গের সব থেকে বড় পুজো এবং ভান্ডারি মেলার সুচনা
উল্লেখ্য এলাকাটির বর্ণময় পরিবেশ ও বৈচিত্র লক্ষ্য করে ২০০৬ সালে রাজ্যের প্রাক্তন বনমন্ত্রী যোগেশ চন্দ্র বর্মন নিজে উদ্যোগী হয়ে ঝিলের সংরক্ষণের এবং জল সংরক্ষণের পরিকল্পনা গ্রহণ করে। যার ফল মিলেছে হাতেনাতে, বছর কাটতে না কাটতেই আদর্শ পরিবেশের খোঁজে পেয়ে পরিযায়ী পাখিরা ধীরে ধীরে আসতে শুরু করে এই জলাশয়ে।
Surajit Dey