আরও পড়ুন: আদালতের নির্দেশে উচ্ছেদ অভিযানে এসে সেই আদালতের নির্দেশেই ফাঁকা হাতে ফিরতে হল!
গোটা বিষয়টি বলতে গেলে ফিরে যেতে হবে খানিকটা পিছনপানে। বন্ধুত্বের শুরু করোনার সেই ভয়ঙ্কর দিনগুলোয়। চলছে লকডাউন, জনমানব শূন্য পথঘাট, বন্ধ খাবারের দোকান, সঙ্গে স্তব্ধ রুটি-রুজি। এমন এক অন্ধকারময় সময়ে জলপাইগুড়ির বাসিন্দা সুভাষ বোসের সঙ্গে শালিক, কাক, চড়াই পাখিদের বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। জলপাইগুড়ির তিস্তা পাড়ের ছোট্ট জনপদ দমোহনি। দীর্ঘদিন ধরে সেখানেই বসবাস খুচরো লটারির টিকিট বিক্রেতা সুভাষবাবুর। করোনা অতিমারির সেই দিনগুলোতে নিজের খাবার জোগাড়ের নিশ্চয়তা নেই সেই অবস্থাতেই সকাল হলেই হাতে কিছু আনাজ নিয়ে দমোহনি বাজারের পথে দাঁড়িয়ে পড়তেন তিনি, খাওয়াতেন এইসব অসহায় পাখিদের।
advertisement
লোকডাউনের সময় সমস্ত দোকানপাট বন্ধ থাকায় প্রচন্ড সমস্যায় পড়েছিল পশুপাখিরা, তারা খেতে পারছিল না। সেই থেকেই সুভাষবাবু পাখি বন্ধুদের খাবার দেন, যা এখন তাঁর নিত্যদিনের রুটিনে পরিণত হয়েছে। করোনা পর্ব কেটে যাওয়ার পর নিজের রুজি রুটিও ফিরে পেয়েছেন সুভাষবাবু। কিন্তু ভুলে যাননি পুরোনো বন্ধুদের। এখনও রোজ ভোরের আলো ফুটলেই হাতে মুড়ি-বিস্কুট নিয়ে শুধু একবার গলা ছেড়ে তাদের উদ্দেশ্যে ডাক দেন। তাতেই উড়ে আসে সেই করোনা কালের বন্ধুরা। সুভাষবাবুর সঙ্গে পাখিদের এমন নিঃস্বার্থ বন্ধুত্বের কথা জানে এলাকাবাসীরাও। তাঁরাও সুভাষবাবুর এমন কাজে বেশ আনন্দিত। তবে সুভাষবাবু জানালেন, ইদানিং বাড়ছে বন্ধুর সংখ্যা, আর এতেই খুশি তিনি।
সুরজিৎ দে