সঙ্গে সঙ্গে তারা খবর দেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ খবর দেয় দমকলে। দমকলের তিনটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে এসে আগুন নেভানোর চেষ্টা করে। মূলত নীচের দিকে হাসপাতালের আউটডোর (outdoor) থাকলেও জেলা স্বাস্থ্য দফতরের প্রশাসনিক ভবন এটি। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় হাসপাতালে আসা রোগী ও তাদের আত্মীয়দের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। হাসপাতালের প্রশাসনিক ভবনের অনেক জরুরী নথিপত্র আগুনে পুড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন জেলা স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকরা। তবে কীভাবে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে তা খতিয়ে দেখছেন দমকল ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
advertisement
জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক অসীম হালদার বলেন, 'দফতরের একটি ঘরে আগুন লাগে। আমরা সকলকেই বলেছি আতঙ্কিত না হতে। পরে সবকিছু নিয়ন্ত্রণে আসে। তেমন কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। আহতও হননি কেউ।' এদিন সরকারি ছুটি হওয়ায় কর্মীরা তেমন না আসায় দফতর প্রায় ফাঁকাই ছিল। এই মুহূর্তে আগুন লাগায় ঘাবড়ে যান রোগীরা।
বহির্বিভাগে চিকিৎসকের চেম্বার (chamber) থেকে বেরিয়ে পড়েন রোগীরা। অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রও বিকল ও অকেজো হয়ে পড়ে। রাস্তার উপর মাত্রাতিরিক্ত যানজট থাকায় দমকল কর্মীদের নাজেহাল হতে হয়। শেষমেশ দমকলের তিনটি ইঞ্জিন এসে সেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। প্রশাসনিক দফতরে অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র না থাকায় নিজেরাই নিজেদের ইঞ্জিনের জল দিয়ে আগুন বেগে আনে দমকলকর্মীরা।
Vaskar Chakraborty