জলপাইগুড়ি জেলার ধুপগুড়ি ব্লকের জলঢাকা নদীর বাঁধ কেটে বালি চুরির অভিযোগ অনেকদিনের। সম্প্রতি রাজ্যের সেচ দফতর সেখানে অস্থায়ী নদী বাঁধ তৈরি করে দেয়। কিন্তু বাঁধ তৈরির পরই বালি মাফিয়ারা সেটা কেটে ফেলে বলে মাগুরামারী-২ পঞ্চায়েতের দক্ষিণ আলাতাগ্রামের বাসিন্দাদের দাবি।
মঙ্গলবার দুপুরে 'প্রাণ গেলেও নদী থেকে বালি তুলতে দেব না' এই দাবি স্বপ্ন দেখে বিক্ষোভে শামিল হন এলাকার মানুষ। দীর্ঘদিন ধরে ঐ এলাকায় নদী বাঁধ নির্মাণের দাবিতে আন্দোলন করছেন গ্রামবাসীরা। তারা ভূমিরক্ষা কমিটি তৈরি করে আন্দোলন করছে। গ্রামবাসীদের আন্দোলনের জেরে সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিকও এলাকা পরিদর্শনে এসেছিলেন। তিনি ফিরে যাওয়ার পরই সেচ দফতর অস্থায়ী বাঁধ তৈরি করে দেয়। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, ইংরেজি নববর্ষের প্রথম দিনই বালি মাফিয়ারা নতুন তৈরি বাঁধ কেটে নদী থেকে বালি চুরির জন্য রাস্তা তৈরি করে।
advertisement
আরও পড়ুন: শিলিগুড়ির ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে ফের দাদাগিরি, বাইক থামিয়ে দিনে দুপুরে মারধর
বালি চুরির জন্য নিয়ে আসা হয় জেসিপি মেশিন। নিজেদের ভিটে মাটি বাঁচাতে মরিয়া গ্রামবাসীরা সেই সময় বালিচুরিতে বাধা দেন। পাল্টা প্রাণনাশের হুমকি দেয় বালি মাফিয়ারা। উভয় পক্ষের মধ্যে বচসা বাধে। এরপর গ্রামবাসীরা নদী থেকে বালি চুরি রুখতে রাত জেগে পাহারা শুরু করেন।
গ্রামবাসীদের অভিযোগ, এমনিতেই নদী ভাঙনে তাঁদের ভিটেমাটি নদীতে তলিয়ে যাচ্ছে। দীর্ঘদিন আন্দোলনের পর সরকার বাঁধের ব্যবস্থা করেছে। কিন্তু ফের নদী থেকে বালি তোলা হলে বাঁধ দিয়েও কোনও কাজ হবে না। এই ঘটনার খবর পেয়ে ছুটে আসে ধূপগুড়ি থানার বিরাট পুলিশ বাহিনী। পুলিশকে ঘিরেও বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসীরা।
সুরজিৎ দে