ব্রিটিশ আমলে ১৮৫০ সালে তৈরি হয় দার্জিলিং পৌরসভা। মোট ৩২ টি ওয়ার্ড রয়েছে দার্জিলিং পুরসভায়। শিলিগুড়ি পুরনিগমের পরই দ্বিতীয় বড় পুরসভা। গত নির্বাচনে পুরবোর্ড দখল করেছিল গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা। যদিও পরে আন্দোলনের সময় বিমল গুরুং পাহাড় ছাড়তেই পুরসভার রাস যায় অনিতের হাতে। পরে অবশ্য বোর্ড ভেঙে প্রশাসক বসায় রাজ্য সরকার।
advertisement
বলাবাহুল্য, দার্জিলিং পুরসভার মোট ভোটার রয়েছে জন্য ৬৫ হাজার ৩৯৮ জন। তার মধ্যে ৩৩ হাজার ৫৪৩ জন মহিলা ও ৩১ হাজার ৮৫৫ জন পুরুষ রয়েছে। মোট ভোটগ্রহণ কেন্দ্র ৮২ টি। যার মধ্যে আটটি কেন্দ্র স্পর্শকাতর। মোট প্রার্থী ১৪৮ জন। তার মধ্যে অনিত থাপার ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চার ৩২ জন ও অজয় এডওয়ার্ডয়ের হামরো পার্টি ৩২ জন প্রার্থী দিয়েছে। পাশাপাশি ১০ জন প্রার্থী দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস, গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা ২২ জন, জিএনএলএফ ২৪ জন, বিজেপি আটজন প্রার্থী দিয়েছে। দার্জিলিংয়ের মহকুমাশাসক দুলেন রায় বলেন, 'কোভিড বিধি মেনে ভোট হবে। ইতিমধ্যে ভোটকর্মীরা বুথের উদ্দেশ্য রওনা দিয়েছে। পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। প্রতিটি বুথে একজন করে অফিসার, দুজন করে সশস্ত্র পুলিশ ও একজন কনস্টেবল থাকবে।'
প্রসঙ্গত, রবিবার রাজ্যে ১০৮টি পুরসভার ভোট। রাজ্য পুলিশ দিয়ে ভোট করানো হবে। ভোটে ১০ জন আইএএস অফিসারকে সিনিয়র বিশেষ পর্যবেক্ষক হিসেব নিয়োগ করল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। সব মিলিয়ে পুরসভার ভোটে থাকছেন ১৩৫ জন পর্যবেক্ষক। রাজ্য নির্বাচন কমিশনের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ১০৮ পুরভোটের নিরাপত্তায় ৪৪ হাজার পুলিশ কর্মী-আধিকারিক মোতায়েন করা হবে। পাশাপাশি ইএফআর, এসটিএফ, কমান্ডো ও র্যাফকেও নামানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কলকাতা হাইকোর্টের সিদ্ধান্তের পরই রাজ্যের প্রত্যেক জেলাশাসককে চিঠি পাঠিয়ে পুরভোটে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার নির্দেশ দিয়েছিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। পুরভোটের নিরাপত্তা নিয়ে রাজ্যের স্বরাষ্ট্র সচিব, রাজ্য পুলিশের সঙ্গে বৈঠকে বসেন নির্বাচন কমিশনের শীর্ষ আধিকারিকরা।
Vaskar Chakraborty