প্রসঙ্গত, গত ১৫ ও ২২ মার্চ একইভাবে রানওয়েতে ফাটলের জেরে দীর্ঘ সময় বন্ধ ছিল বিমান চলাচল। এছাড়াও বাগডোগরা বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের তরফে আগেই জানানো হয়েছিল যে, আগামী ১১ এপ্রিল থেকে ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত রানওয়ের কাজের জন্য বন্ধ থাকবে বিমান চলাচল। তার আগেই তিন বার রানওয়েতে সমস্যার জেরে বন্ধ হল বিমান চলাচল। সব মিলিয়ে ভোগান্তি যাত্রীদের। ঠিক কী কারণে প্রায়শই সমস্যা দেখা দিচ্ছে রানওয়েতে? সেই নিয়ে উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন বিভিন্ন মহলে।
advertisement
সিকিম, দার্জিলিং এবং উত্তরের বিভিন্ন সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে ঢুকতে হবে বাগডোগরা দিয়েই। এদিকে দিনের পর দিন বিমানবন্দর বন্ধ থাকলে তা জেলা এবং পাহাড়ের অর্থনীতি এবং পর্যটনের উপর প্রভাব ফেলবে। বাংলার দ্বিতীয় ব্যস্ততম বিমানবন্দর বাগডোগরা বিমানবন্দর। উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন এলাকা থেকে মানুষ এখানে আসে বা এখান থেকে বাইরে যায়। শিলিগুড়িকে 'চিকেন নেক' (chicken neck) বলা হয়। এই নির্দিষ্ট শব্দের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে বাগডোগরা বিমানবন্দরও।
ফেব্রুয়ারি মাসে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের তরফে নির্দেশিকা আসে, চলতি বছরের এপ্রিল মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে টানা ১৫দিন বন্ধ থাকবে বিমানবন্দর। বাগডোগরা বিমানবন্দরের তরফে এব্যাপারে নির্দেশিকা মারফত জানা গিয়েছে।
বাগডোগরা বিমানবন্দর সূত্রে খবর, ১১ এপ্রিল থেকে ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত রানওয়েতে কাজ চলবে। ফলে সেই কয়েকদিন রানওয়ে সম্পূর্ণ বন্ধ থাকবে। ২৬ এপ্রিল রানওয়ে খোলা হবে। তবে ২৬ এপ্রিল রানওয়ে চালু হলেও পরবর্তী বিজ্ঞপ্তি না আসা পর্যন্ত সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত বিমান ওঠা-নামা করবে। এই বিষয়টি ইতিমধ্যেই বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের তরফে দার্জিলিং জেলা প্রশাসনকে জানানো হয়েছে।
বিমানবন্দর সূত্রেই জানা গিয়েছে, বাগডোগরা বিমানবন্দরে রানওয়ে (runway) সংস্কারের ব্যাপারে ভারতীয় বিমান বাহিনী (IAF)-রএকজন পদস্থ আধিকারিক, এয়ারপোর্ট অথরিটি অফ ইন্ডিয়া (AAI)-র নির্বাহী পরিচালককে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন। সেই অনুযায়ী আগামী ১১ এপ্রিল থেকে ২৫ এপ্রিল বাগডোগরা বিমানবন্দরে বিমান পরিষেবা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাগডোগরা বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।
Vaskar Chakraborty