প্রকৃতির অকৃপণ দান ছড়িয়ে রয়েছে উত্তরবঙ্গে। তারই ছোঁয়া রয়েছে উত্তরের শিল্পসংস্কৃতিতেও। ভাওয়াইয়া তারই একটি অংশ বিশেষ । উত্তরবঙ্গের বিশিষ্টতার অন্যতম অভিজ্ঞান। যে সংস্কৃতির মধ্যে অবিভক্ত উত্তরবঙ্গের সমাজ, সংস্কৃতি, নৃতাত্ত্বিক ঐতিহ্য এবং ইতিহাস জড়িয়ে আছে।
আরও পড়ুন: বদলে গেল বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের সময়সূচি! জেনে নিন টাইম টেবল
উত্তরবঙ্গের প্রকৃতি ও মানুষের জীবনযাত্রার সঙ্গে জড়িয়ে আছে ভাওয়াইয়া সঙ্গীতধারা। কিন্তু কালক্রমে নতুন প্রজন্মের কাছে ভাওয়াইয়া গান অপরিচিতই রয়ে যাচ্ছে। তাই নবীন প্রজন্মকে এই লোকসংস্কৃতির সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতে এবং পাশাপাশি এই সঙ্গীতের সঙ্গে প্রয়োজনীয় বাদ্যযন্ত্রের পরিচয় ঘটাতেই সরকারের এমন আয়োজন।
advertisement
অনুষ্ঠানের কথা জানতে পেরে রবীন্দ্র ভবনে আসেন পেশায় চিকিৎসক ও সঙ্গীত প্রেমী ডাঃ ইলা চক্রবর্তী। এত সুন্দর একটি অনুষ্ঠানে এসে তিনি বলেন, "শহরের বুকে এত্তো সুন্দর অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এসে খুব ভাল লাগল।" ভাওয়াইয়া গানে রয়েছে গ্রাম বাংলার মাটির টান। নানান বাদ্যযন্ত্রেরও ব্যবহার হয় এই গানে। যেমন বলা যায় সারেঙ্গার কথা।
নবীন প্রজন্ম এমন ধরনের বাদ্যযন্ত্র বাজানোর কিংবা এই ভাওয়াইয়া গানের মাধুর্য সারা দুনিয়ার কাছে উপস্থাপন করতে যাতে আগ্রহী হয়, কালক্রমে এই ভাওয়াইয়া গান যাতে হারিয়ে না যায় সেই জন্যেই এমন প্রচেষ্টা সরকারের। উল্লেখ্য, এই সারেঙ্গা বাজিয়েই সম্প্রতি পদ্মশ্রী পেয়েছেন মঙ্গলা কান্ত রায়।
সুরজিৎ দে