ভাস্কর চক্রবর্তী, জলপাইগুড়ি: সাধ করে ছেলের বিয়ে দিয়েছিলেন ময়নাগুড়ির বাসিন্দা কল্যাণী সরকার। কিন্তু সেই স্বপ্ন দুঃস্বপ্নে পরিণত। বিয়ের বছর ফিরতেই শাশুড়ির ওপর শুরু মানসিক অত্যাচার। ঝগড়া, গালাগাল থেকে শুরু করে অকথ্য ভাষার প্রয়োগ; কোনোটাই যায়নি বাদ। এবার সেই শিঁয়নে জুড়ল আরেক ধাপ। চুল ছিড়ে দিয়ে বেদম পিটিয়ে ঘর থেকে বের করে দেওয়ার চেষ্টা পুত্রবধূর। এই ঘটনায় পুত্রবধূর বিরুদ্ধে শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ এনে থানার দ্বারস্থ হলেন কল্যাণী দেবী। এই চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে ময়নাগুড়ির আনন্দনগর পাড়ায়। থানায় অভিযোগ দায়ের হতেই বেপাত্তা ওই অভিযুক্ত পুত্রবধূ। গোটা ঘটনার তদন্তে নেমেছে ময়নাগুড়ি থানার পুলিশ। জানা গিয়েছে, ময়নাগুড়ির আনন্দনগর পাড়ার কল্যাণী সরকার নামে এক বৃদ্ধাকে বেদম পিটিয়ে ঘর বাড়িথেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠল তার পুত্রবধূ আশা সরকারের বিরুদ্ধে। এদিন বৃদ্ধার একমাত্র ছেলে সঞ্জয় সরকারকে নিয়ে এসে পুত্রবধূর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করল ময়নাগুড়ি থানায়। বৃদ্ধার অভিযোগ, বেশ কয়েকদিন ধরেই পুত্রবধূ আশা সরকার নিজের মাকে নিজের কাছেই এনে রেখেছেন। তারপর থেকেই বাড়ি থেকে শাশুড়ির ওপর নির্যাতন শুরু করে আশা। সেই সঙ্গে বাড়ি থেকে বের হয়ে যাওয়ার জন্য চাপ পুত্রবধূ চাপ সৃষ্টি করে। এই ঘটনার প্রতিবাদ করলে শনিবার রাতে তাকে ছেলের সামনেই মারতে শুরু করে আশা। টেনে মাথার চুল ছিড়ে দেয়। ঘার ধাক্কা দিয়ে ঘর থেকে বের পর্যন্ত করে দেওয়ার চেষ্টা করে। এই ঘটনায় অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। রবিবার সকালে ময়নাগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসা করে মার চিকিৎসা করিয়ে বৃদ্ধার ছেলে সঞ্জয় সরকার সোজা চলে যায় ময়নাগুড়ি থানায়। থানায় এসে তার স্ত্রী আশা সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন। তদন্ত করছেন ময়নাগুড়ি থানার পুলিশ। বৃদ্ধা শাশুড়ি ও তার ছেলে অভিযুক্ত আশা সরকারের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করেছেন। যদিও অভিযোগ দায়েরের পর থেকেই বেপাত্তা অভিযুক্ত পুত্রবধূ।