শুভজিৎ পেশায় ব্যবসায়ী। এভারেস্ট বেস ক্যাম্প ট্রেকটি পৃথিবীর দশটি বিখ্যাত ট্রেকের মধ্যে অন্যতম এবং সময় ও দূর্গমতার নিরিখে কঠিনতম। এহেন ট্রেকের প্রস্তুতি প্রায় এক বছর আগে থেকে শুরু করেন সুজিত মণ্ডল। বয়সজনিত শারীরিক দুর্বলতা এবং ভাঙা পায়ের জন্য নিয়মিত ফিজিওথেরাপি ও শরীরচর্চার পাশাপাশি প্রতিদিন সকালে এক ঘন্টা প্রাতঃভ্রমণ করে গিয়েছেন গত এক বছর ধরে।
advertisement
আরও পড়ুনঃ ট্রেনের ধাক্কায় ছিন্নভিন্ন চিত্র সাংবাদিকের শরীর! দুর্ঘটনা নাকি আত্মহত্যা? জেলায় শোকের আবহ
শুভজিৎ-এর পক্ষে দিনে শরীরচর্চা সম্ভব হত না, সেজন্য নিয়মিত রাতে পাঁচ কিলোমিটার দৌড়তেন তিনি। গত ১০ অক্টোবর জলপাইগুড়ি থেকে রওনা হয়ে নেপালের কাঁকড়ভিটা সীমান্ত দিয়ে সালেরী পৌঁছন সুজিত মণ্ডল এবং শুভজিৎ। খারাপ আবহাওয়ার জন্যে সেখানে একদিন অপেক্ষা করে অতি দুর্গম পথে একে একে থামদারা, পাইয়া, ফাকদিং, নামচে বাজার, পাঙবোচে, ডিংবোচে, লোবুচে, গোরকশেপ হয়ে ১২ দিন পর ২২ অক্টোবর এভারেস্ট বেস ক্যাম্প পৌঁছন।
আরও পড়ুনঃ 'অসুখী দাম্পত্য, সন্তানকে পৃথিবীতে আনব কিনা বহুবার ভেবেছি', মেয়ের জন্মদিনে যা লিখলেন বৈশাখী...
এভারেস্ট বেস ক্যাম্পের উচ্চতা ৫৩৬৪ মিটার (১৭,৫৯৮ ফুট)। এভারেস্ট বেস ক্যাম্পে বায়ুমণ্ডলের অক্সিজেনের মাত্রা সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় অর্ধেক। স্বল্প অক্সিজেনে শরীরকে খাপ খাওয়াতে অতিরিক্ত দু-তিন দিন 'acclimatization' ডে রাখা হয়। একইপথে সেখান থেকে নেমে আসতে সময় লাগে প্রায় ৮ দিন। গতকাল ২৮ অক্টোবর তারা কাঁকড়ভিটা হয়ে জলপাইগুড়ি ফিরে আসেন। পুস্পস্তবক দিয়ে তাদের স্বাগত জানান শুভানুধ্যায়ীরা।
ট্রেক প্রসঙ্গে সুজিত মণ্ডল জানান, 'এটি একটি অসাধারণ ও অনন্য অভিজ্ঞতা।' সম্পূর্ণ নিজস্ব উদ্যোগে তারা ট্রেকটি সম্পন্ন করেন। সারা বিশ্বের ট্রেকারদের সাথে এই ট্রেক রুটে একসাথে ট্রেক করা যায়। তাদের সাথে মতবিনিময় ও অভিজ্ঞতা বিনিময় করা যায়। এই ট্রেক সম্বন্ধে মতামত জানাতে গিয়ে শুভজিৎ মণ্ডল জানান, সুজিত বাবু তাঁর বাবার সমবয়সী। তিনি আরও জানান, বিপদসঙ্কুল পথে সুজিতবাবু সব সময়ই তাঁকে সহযোগিতা করেছেন।
সুরজিৎ দে