TRENDING:

অ্যান্টার্কটিকার প্রত্যন্ত দ্বীপের ডাকঘর চাপা পড়ল তীব্র তুষারপাতে, উদ্ধার চার মহিলা কর্মী

Last Updated:

Port Lockroy Post Office: দক্ষিণ মেরুর গোদিয়ের দ্বীপের পোর্ট লকরয়। এখানেই আছে পৃথিবীর প্রত্যন্ততম ডাকঘর

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
লন্ডন : ক্লেয়ার ব্যালান্টাইন, মেইরি হিল্টন, নাতালি করবেট, লুসি ব্রুজোন-অগণিত, রেকর্ড সংখ্যক আবেদনকারীর মধ্যে এই চার নারীকে বেছে নেওয়া হয়েছিল বিশ্বের দুর্গম এবং অন্যতম প্রত্যন্ত অংশে দুরূহ কাজের জন্য। সে প্রান্ত হল দক্ষিণ মেরুর গোদিয়ের দ্বীপের পোর্ট লকরয়। এখানেই আছে পৃথিবীর প্রত্যন্ততম ডাকঘর। গত অক্টোবরে এই ডাকঘরেই চাকরি করতে পৌঁছন ওই চার নারী।
পৃথিবীর প্রত্যন্ততম ডাকঘর
পৃথিবীর প্রত্যন্ততম ডাকঘর
advertisement

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, ওই ডাকঘরের কর্মীরা আসন্ন অস্ট্রাল সামারের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। পৃথিবীর দক্ষিণ গোলার্ধে এই গ্রীষ্মকালীন মরশুম থাকে নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। ডাকঘরে ওই চার নারী ছাড়াও ছিলেন আরও তিন কর্মী। প্রসঙ্গত ওই তিন কর্মীর কিছু দিনের মধ্যেই ডাকঘর ছেড়ে চলে যাওয়ার কথা ছিল। তার আগেই শুরু হয় তীব্র তুষারপাত। ৬ থেকে ১২ ফুট বরফে চাপা পড়ে ডাকঘর। প্লাইমাউথে থাকা রয়্যাল নেভির এইচএমএস প্রোটেক্টর কয়েক টন বরফ সরায়। ব্রিটিশ রয়্যাল নেভির এই জাহাজের কাজই দক্ষিণ মেরু ও তার সংলগ্ন অঞ্চলে ভারী তুষারপাতের পর বরফ সরানো।

advertisement

আরও পড়ুন :  বিয়ে করে শ্বশুরবাড়িতে উঠেছিল নাবালিকা, বাড়িতে ফিরিয়ে আনল প্রশাসন

ইঞ্জিনিয়াররা জানিয়েছেন কাঠের তৈরি ডাকঘরের কাঠামো অটুট রেখে বরফ সাফাই অত্যন্ত কঠিন ছিল। নৌবাহিনীর তুষার টহলদারি জাহাজ চিরশীতল অ্যান্টার্কটিকায় তাদের কাজ বহাল রাখে। কারণ এখানে ইংল্যান্ড-সহ নানা দেশের গবেষণাগার ও পরীক্ষাগার আছে। সেখানে প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম ও রসদ পৌঁছে দেয় এই আইস প্যাট্রোলিং শিপ। ওই ডাকঘরের কর্মীরা এখন আবার ফিরে যেতে পারবেন কর্মস্থলে।

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
লালগোলাতে রাজরাজেশ্বরী রূপে পূজিতা হন মা কালী! দেওয়া হয় ইলিশের ভোগ
আরও দেখুন

প্রসঙ্গত পোর্ট লকরয় আগে ছিল তিমিশিকারের কেন্দ্র। পরে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেটি পরিণত হয়েছে জনপ্রিয় পর্যটনস্থলে। গ্রীষ্মে প্রতি বছর প্রায় ২০ হাজার মানুষের পা পড়ে এখানে। এই প্রতিকূল পরিবেশে ডাকঘরে কাজ করা সহজ নয়। কিন্তু সেই অসাধ্যসাধন করে দেখিয়েছেন ওই চার জন। ট্যাপ ওয়াটার খুললেই জল, বাথরুমে ফ্লাশ করার ব্যবস্থা, ওয়াইফাই পরিষেবা-সবই অতীত তাঁদের জীবনে। এমনকি, ওখানে থাকার প্রতি মেয়াদে প্রিয়জনদের সঙ্গে কথা বলতে পারেন সপ্তাহে মাত্র একবার, মাত্র ১০ মিনিটের জন্য।

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/বিদেশ/
অ্যান্টার্কটিকার প্রত্যন্ত দ্বীপের ডাকঘর চাপা পড়ল তীব্র তুষারপাতে, উদ্ধার চার মহিলা কর্মী
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল