সোনোমা কান্ট্রি রেপটাইল রেসকিউয়ের ডিরেক্টর উলফ জানিয়েছেন, পাহাড়ি এলাকায় সান্টা রোজাতে অবস্থিত এই বাড়ির নীচে কিছুটা হামাগুড়ি দিতেই একটি র্যাটেলস্নেক দেখতে পান তিনি। এর পর আরেকটি, ফের আরেকটি... এভাবে প্রায় দুই বাস্কেট ভরতি হয়ে যায় র্যাটেলস্নেকে। প্রায় চার ঘণ্টা ধরে একের পর এক র্যাটেলস্নেক উদ্ধার করেন উলফ। বার বার মাটিতে হামাগুড়ি দিতে গিয়ে গ্লাভস, হাঁটু ও পেটেও কভার পরেছিলেন উলফ। প্রায় ২০০ টি ছোট পাথরের মধ্যে দিয়ে বার বার হামাগুড়ি দিয়ে সাপগুলিকে উদ্ধার করতে হয়েছে তাঁকে।
advertisement
আরও পড়ুন: একেই বলে এন্ট্রি! বিয়ের আসরে রিক্সায় বসে এলেন বর-বউ, তুমুল ভাইরাল ভিডিও
উলফের কথায়, 'আমি ভাবছিলাম, কী থাকবে। কিন্তু গিয়ে দেখলাম ভিতরে খুব নোংরা। মাকড়সার জাল, কাদা। সেগুলির মধ্যেই সাপগুলিকে উদ্ধার করতে শুরু করি। কারণ এটাই আমার কাজ।' এই কঠোর পরিশ্রমের ফলে প্রায় ১০০ টি সাপকে উদ্ধার করতে পেরে দারুণ খুশি উলফ। ২৪ ইঞ্চি লাঠি দিয়ে প্রায় ২২ টি পূর্ণবয়স্ক ও ৫৯ টি সাপের বাচ্চা উদ্ধার করেন উলফ। পরে ফের আরও ১১ টি সাপ পান তিনি। ভিতরে একটি মরা বিড়াল ও ছুঁচোও পেয়েছেন উলফ। এগুিল সবই নর্দার্ন প্যাসিফিক র্যাটেলস্নেকের প্রজাতি। নর্দার্ন ক্যালিফর্নিয়াতে পাওয়া যায় এই একমাত্র বিষধর সাপ এটি।
উলফ জানিয়েছেন, ৩২ বছর ধরে এই পেশার সঙ্গেই জড়িত তিনি। প্রায় ১৩ বার সাপের কামড় খেয়েছেন। প্রায় ১৭ টি দেশে ঘুরে এই কাজ করেছেন তিনি। কিন্তু একটি বাড়ির নীচ থেকে এভাবে এতগুলি সাপ কখনও উদ্ধার করেননি তিনি। অক্টোবর থেকে এপ্রিল পর্যন্ত র্যাটেলস্নেক সাধারণত শীতঘুমে থাকে। এবং বার বার একই জায়গায় ফিরে এসে এই কাজ করে। সুতরাং, মহিলার এই বাড়ির নীচে দীর্ঘদিন ধরেই যে র্যাটেলস্নেকের বাসা, তা বোঝাই যাচ্ছে।