নাসা এই ছবিটির নাম দিয়েছে ‘মৃত নক্ষত্রের শেষ নাচ’। মহাকাশ সংস্থা জানিয়েছে, এই ছবিগুলিতে কেন্দ্রে যে ম্লান নক্ষত্রটিকে দেখা যাচ্ছে তা নিজের সমস্ত দিকে গ্যাস এবং ধূলিকণার বলয় গড়ছে। এই ঘটনাটি হাজার হাজার বছর ধরে চলছে এবং এতদিনে NASA-র জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপের ছবিতে এই বিরল মহাজাগতিক ঘটনাটি ধরা পড়েছে। ধুলোয় ঢাকা এক মরণাপন্ন তারার ছবি হাজারো প্রশ্ন তুলে দিয়েছে মানুষের মনে। সাউদার্ন রিং নেবুলাকে ছবিতে প্রায় সোজাসুজিই দেখা যাচ্ছে।
advertisement
আরও পড়ুন- "ওজন কমাও তুমি": বিহারে গিয়ে লালু পুত্র তেজস্বীকে পরামর্শ দিলেন নরেন্দ্র মোদি!
“কিন্তু যদি আমরা ছবিটিকে নানা প্রান্তে দেখতে ঘোরাতে পারি, তবে এর ত্রিমাত্রিক আকৃতিটি আরও স্পষ্ট হবে। তখন নীচের অংশে মাঝে বড় গর্ত থেকে দূরে একসঙ্গে রাখা দুটি বাটির মতো দেখাবে,” জানিয়েছে নাসা।
তারা এবং তাদের আলোর স্তরগুলিকে বাম দিকের ওয়েবের নিয়ার-ইনফ্রারেড ক্যামেরা (NIRCam) দিয়ে ছবিতে স্পষ্টভাবে দেখা যায়। আর ওয়েবের মিড-ইনফ্রারেড ইন্সট্রুমেন্ট (MIRI) ডানদিকের যে ছবিটি দেখায়, তাদে দেখা যাচ্ছে দ্বিতীয় তারাটি ধুলোয় বেষ্টিত।
আরও পড়ুন- ফের মূল্যবৃদ্ধি! ১৮ জুলাই থেকে বাড়ছে কোন কোন নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম?
“উজ্জ্বল নক্ষত্রটি তার নাক্ষত্রিক বিবর্তনের প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে এবং সম্ভবত ভবিষ্যতে তার নিজস্ব গ্রহ নীহারিকার জন্ম দেবে,” জানিয়েছে নাসা৷ নীহারিকাটির সামগ্রিক চেহারায় উজ্জ্বল নক্ষত্রের প্রভাব রয়েছে। দু’টি তারাই প্রদক্ষিণ করছে কারণ গ্যাস এবং ধূলিকণার আধারটিকে আলোড়িত করছে তারা, যার ফলে অ্যাসিমট্রিক্যাল নানা নকশা তৈরি হচ্ছে।”
জেমস ওয়েব টেলিস্কোপটি তৈরি করেছিল নর্থরপ গ্রুম্যান কর্প এবং ২০২১ সালের ডিসেম্বরে NASA এবং এর ইউরোপীয় এবং কানাডিয়ান সংস্থার জন্য মহাকাশে পাঠানো হয়েছিল।