২০০৮ সালে জিম্বাবোয়ের বাজারে ১০০ ট্রিলিয়ন ডলারের ব্যাঙ্ক নোট জারি করা হয়। ভারতীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ ছিল ১০০ লক্ষ কোটি টাকা। আশ্চর্যজনক ভাবে এই নোটের মূল্য পাকিস্তান-সহ প্রায় অনেক দেশের অর্থনীতির চেয়েও বহুগুণ বেশি। এমতাবস্থায় অর্থনৈতিক ভাবে বিপর্যস্ত একটি দেশে কীভাবে এত বিপুল পরিমাণ মূল্যের নোট ইস্যু করা হল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
advertisement
আরও পড়ুন- ইংরেজিতে 'S' দিয়ে শুরু নামের মানুষরা কেমন হন, জেনে নিন অবশ্যই
প্রকৃতপক্ষে ২০০৮ সালের অর্থনৈতিক সংকটের কারণে জিম্বাবোয়ের বৈদেশিক মুদ্রার সঞ্চয় প্রায় তলানিতে এসে দাঁড়ায় এবং এর ফলে মুদ্রার মূল্য রেকর্ড পরিমাণে নেমে আসে। সে সময় জিম্বাবোয়েতে মূল্যস্ফীতির হার ব্যাপক ভাবে বেড়ে যায়। এই কারণে দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ককে ১০০ ট্রিলিয়ন ইউনিটের মুদ্রা রফতানি করাতে হয়।
২০২৩ সালে আবারও ওই দেশের একই অবস্থা দাঁড়িয়েছে, এবারেও বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ককে পুনরায় আবার একই পদক্ষেপ নিতে হবে। হাইপারইনফ্লেশনের সঙ্গে মোকাবিলায় সে দেশের সরকার সেই সময় Z$10tn, Z$20tn এবং Z$50tn নোট চালু করার পরিকল্পনা করেছিল।
আরও পড়ুন- শনির অবস্থান পরিবর্তনে এই রাশির জাতক-জাতিকারা দুর্দশাগ্রস্ত হতে পারেন, মুক্তির উপায় কী?
ইনফ্লেশনের কারণে দেশে খাদ্য ও জ্বালানি সরবরাহ কম থাকা নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম ক্রমাগত বাড়ছিল। দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক প্রথমে নোট ইস্যু করে মুদ্রাস্ফীতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার চেষ্টা করলেও খুব একটা বদল আসেনি। সেই সময় জিম্বাবোয়ে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ভাবেও নানা উত্থান-পতনের মধ্য দিয়ে গিয়েছে।
দুঃখের বিষয় এখন আবারও জিম্বাবোয়েতে দ্রুত মূল্যস্ফীতির হার বাড়তে শুরু করেছে। করোনা মহামারী পরবর্তীকালে এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পর আফ্রিকার এই দেশটির পরিস্থিতিতে দ্রুত অবনতি ঘটতে শুরু করেছে।