এই ছিল ট্রাম্পের ২০ জানুয়ারি দ্বিতীয় দফায় ক্ষমতায় ফেরার পর সবচেয়ে বড় প্রতিবাদ—যা দেশের ১,২০০টিরও বেশি স্থানে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
কারা এই প্রতিবাদে সামিল?
এই বিক্ষোভে অংশ নিয়েছে ১৫০-রও বেশি সংগঠন, যার মধ্যে ছিল LGBTQ+ অধিকার রক্ষাকারী সংস্থা, নাগরিক অধিকার সংগঠন, শ্রমিক ইউনিয়ন, নির্বাচন সংক্রান্ত অ্যাক্টিভিস্ট এবং প্রাক্তন সেনারাও।
হেঁটে চটজলদি ‘ফল’ চান? ‘৫-৪-৫’ ফর্মুলা বদলে দেবে আপনার শরীর-মন! বেশি নয়, এই ভাবে ‘স্মার্টলি’ হাঁটুন!
‘হ্যান্ডস অফ’ আন্দোলন কী?
‘হ্যান্ডস অফ’ আন্দোলন আসলে একাধিক বিক্ষোভের শৃঙ্খল, যা ট্রাম্প প্রশাসনের নানা নীতির বিরুদ্ধে গড়ে উঠেছে। এর মধ্যে রয়েছে অবৈধ অভিবাসীদের গণ-নির্বাসন, কেন্দ্রীয় কর্মীদের বরখাস্ত, স্বাস্থ্য পরিষেবার বাজেট ছাঁটাই এবং ট্রান্সজেন্ডারদের অধিকার হরণ ইত্যাদি।
প্রতিবাদীদের বক্তব্য, ট্রাম্প এবং এলন মাস্ক এমন অনেক কিছু ব্যবহার করছেন বা দখল করছেন যা তাঁদের অধিকারে নয়। এই জন্যই তাঁরা বিশ্ববাসীর কাছে আহ্বান জানাচ্ছেন—এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে।
দেশজুড়ে প্রতিবাদের চিত্র
সিয়াটলে, প্রতিবাদকারীরা “Fight the oligarchy” লেখা প্ল্যাকার্ড হাতে তুলে ধরেন। সরকার যেভাবে কেন্দ্রীয় কর্মীদের ছাঁটাই করছে এবং দুর্বল জনগোষ্ঠীর অধিকার কেড়ে নিচ্ছে, তার বিরুদ্ধে তাঁরা তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
প্রসঙ্গত, এলন মাস্ক বর্তমানে ‘ডিপার্টমেন্ট অফ গভর্নমেন্ট এফিসিয়েন্সি’-র প্রধান ও প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করছেন। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ—তিনি আমেরিকার সাধারণ মানুষের চেয়ে কর্পোরেট সংস্থাগুলির স্বার্থকেই বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন।
আটলান্টায়, “Impeach Trump, Deport Musk” লেখা প্ল্যাকার্ড হাতে দেখা যায় বহু বিক্ষোভকারীকে।
বস্টনে, “Hands off our democracy” ও “Hands off our Social Security” লেখা পোস্টার হাতে মানুষজন ট্রাম্প প্রশাসনের সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পে কাটছাঁটের বিরোধিতা করেন।