ন্যাটো (নর্থ অ্যাটলান্টিক ট্রিটি অর্গানাইজেশন) প্লাসে ভারতকে অন্তর্ভুক্ত করার একটি প্রস্তাব অবশ্য চার আগেই পাশ হয়েছিল মার্কিন কংগ্রেসের উচ্চ কক্ষে। ২০১৯ সালে ওই প্রস্তাব এনেছিলেন ভারত বিষয়ক কংগ্রেস কমিটির সেনেটর জন ক্রনিন ও সেনটর মার্ক ওয়ার্নার। সেনেটে এই প্রস্তাব পাশ হওয়ার ভারত-মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক সম্পর্ক আরও দৃঢ হবে বলে মনে করছিলেন আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা।
advertisement
আরও পড়ুন: কর্ণাটকের পর এবার তামিলনাড়ুতেও ‘Amul’ বিতর্ক, অমিত শাহকে চিঠি স্ট্যালিনের
ওই ন্যাটো প্লাস গোষ্ঠীতে ভারত অন্তর্ভুক্ত হলে ইজরায়েল, দক্ষিণ কোরিয়ার মতোই আমেরিকার কাছ থেকে সামরিক সহয়তা পাবে নয়াদিল্লি। সন্ত্রাসবাদ, কাশ্মীর ইস্যু, ভারত মহাসাগরের নিরাপত্তা-সহ একাধিক বিষয়ে ন্যাটোর সহযোগিতা পাওয়া যাবে। যার ফলে দেশের নিরাপত্তার প্রশ্নে প্রতিবেশীদের থেকে ভারত অনেকটাই এগিয়ে থাকতে পারবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। বিশেষত ক্রমাগত জঙ্গিদের মদত দেওয়া পাকিস্তানকে সন্ত্রাসবাদ বিরোধী বার্তা দিতে সমর্থ হবে ভারত।
রাজা কৃষ্ণমূর্তি, অ্যামি বেরা, তুলসি গাবার্ডের মতো ভারতীয় বংশোদ্ভূত কংগ্রেস সদস্যরা এই প্রস্তাব পাশ হওয়া নিয়ে আশাবাদী। এর আগেও একই প্রস্তাব বিল আকারে তোলা হয়েছিল। কিন্তু প্রয়োজনীয় সমর্থন না পাওয়ায় সেটি পাশ করানো যায়নি। ২০১৬ সালে ভারতকে ‘মেজর ডিফেন্স পার্টনার’ হিসাবে ঘোষণা করে আমেরিকা। যার ফলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে অত্যাধুনিক অস্ত্র আর প্রযুক্তি কেনার ক্ষেত্রে বাড়তি সুবিধা পেয়েছে নয়াদিল্লি। এবার ন্যাটো প্লাসে অন্তর্ভুক্ত হলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সহ ন্যাটোর সদস্য দেশগুলির ঘনিষ্ঠ হওয়ায় প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে অনেকটাই এগিয়ে থাকবে ভারত।