ফিফার নতুন এই পুরস্কার সেই সব ব্যক্তিকে সম্মান জানায়, যারা “মানুষকে একত্রিত করতে পারেন এবং আগামী প্রজন্মকে আশার আলো দেখান।”
লক্ষণ দেখেও ফেলে রাখার ফল! ফুসফুসের ক্যানসার কখন ধরা পড়লে সারে? জানাচ্ছেন চিকিৎসক
বেড়েই চলেছে দাম! আজ ৫ লক্ষ টাকার সোনা কিনলে ২০৩০ সালে তার দাম কত হবে? বিনিয়োগের আগে জেনে নিন
advertisement
ইনফানতিনোর প্রশংসা, হাতে সোনার ট্রফি ও মেডেল
অনুষ্ঠানে ইনফানতিনো ট্রাম্পকে “মানুষের প্রতি যত্নশীল এক নেতা” বলে বর্ণনা করেন। হাতে ধরানো হয় সোনালি রঙের পৃথিবী-উত্তোলন করা হাত আকৃতির একটি ট্রফি ও সোনার মেডেল। সার্টিফিকেটে ট্রাম্পের বিশ্বজুড়ে “শান্তি ও ঐক্য প্রচারের” ভূমিকার কথাও উল্লেখ করা হয়। ইনফানতিনো ঘোষণা করেন—“এই পুরস্কার আপনারই।”
ট্রাম্পের প্রতিক্রিয়া: ‘আমার জীবনের অন্যতম শ্রেষ্ঠ সম্মান’
ট্রাম্প এই স্বীকৃতিকে জীবনের “একটি বিরাট সম্মান” বলে উল্লেখ করেন। পরিবারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান, বিশেষ করে ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্পকে। একইসঙ্গে কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি এবং মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট ক্লাউডিয়া শেইনবামকেও ধন্যবাদ জানান—কারণ বিশ্বকাপের আয়োজক দেশ হিসেবে তাঁরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
ট্রাম্প আগে থেকেই নোবেল শান্তি পুরস্কার পাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করে আসছিলেন। গাজার যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে তাঁর ভূমিকার জন্য ট্রাম্প নোবেল পাওয়া উচিত বলেও অতীতে ইঙ্গিত করেছিলেন ইনফানতিনো। ফলে ফিফার এই নতুন পুরস্কারের জন্য ট্রাম্পকে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে অনেকেই দেখছিলেন।
ফিফার সাফাই
ফিফার দাবি, এই শান্তি পুরস্কার “শান্তির উদ্দেশ্যে অসাধারণ ও ব্যতিক্রমী পদক্ষেপ” নেওয়া ব্যক্তিদের দেওয়া হয়। ফুটবলের গণ্ডি ছাপিয়ে এই নতুন উদ্যোগ ইনফানতিনোর বহুদিন ধরেই করে আসা বক্তব্য—ফুটবলই বিশ্বের বৃহত্তম একতাকারী শক্তি—তারই সম্প্রসারণ।
বিতর্কের সময়েই পুরস্কার
তবে একই সপ্তাহে ট্রাম্প প্রশাসন ক্যারিবিয়ান সাগরে সন্দেহভাজন মাদকবাহী নৌকার উপর প্রাণঘাতী হামলা চালানোর ঘটনাকে কেন্দ্র করে সমালোচনার মুখে পড়েছে। পাশাপাশি অভিবাসন বিষয়ে ট্রাম্পের কঠোর কথাবার্তাও বিতর্ক বাড়িয়েছে।
এদিকে চলতি বছরের নোবেল শান্তি পুরস্কার গিয়েছে ভেনেজুয়েলার বিরোধী নেতা মারিয়া কোরিনা মাচাদোর হাতে। তিনি নিজের স্বীকৃতির একটি অংশ ট্রাম্পকে উৎসর্গ করেছেন—তাঁর আন্দোলনে ট্রাম্পের সমর্থনের কথা উল্লেখ করে।
