Lung Cancer। লক্ষণ দেখেও ফেলে রাখার ফল! ফুসফুসের ক্যানসার কখন ধরা পড়লে সারে? জানাচ্ছেন চিকিৎসক
- Published by:Tias Banerjee
Last Updated:
ভারতে ফুসফুসের ক্যানসার ধূমপান ছাড়াও বায়ুদূষণ ও জেনেটিক কারণে বাড়ছে, SVICCAR-এ সময়মতো চিকিৎসায় রোগীর জীবন বদলাচ্ছে, সচেতনতা ও স্ক্রিনিং জরুরি।
advertisement
স্ক্রিনিং, আধুনিক ডায়াগনস্টিক প্রযুক্তি এবং টার্গেটেড থেরাপিতে যথেষ্ট অগ্রগতি সত্ত্বেও ফুসফুসের ক্যান্সার এখনও বিশ্বজুড়ে ক্যান্সার-জনিত মৃত্যুর প্রধান কারণ। অথচ এই মৃত্যুর একটি বড় অংশ প্রতিরোধযোগ্য, এবং রোগটি প্রাথমিক পর্যায়ে শনাক্ত করা গেলে রোগীর বাঁচার সম্ভাবনা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যায়।
advertisement
advertisement
দুর্ভাগ্যজনক ভাবে, অধিকাংশ রোগী উন্নত পর্যায়ে চিকিৎসকের কাছে আসেন, যখন অস্ত্রোপচার আর সম্ভব থাকে না এবং নিরাময়ের সুযোগও কমে যায়। এর অন্যতম কারণ হল, রোগের শুরুর লক্ষণ প্রায় নীরব—সামান্য কাশি বা শ্বাসকষ্টকে সাধারণ সংক্রমণ ভেবে অবহেলা করা হয়, এবং টিবি বা সিওপিডির মতো দীর্ঘস্থায়ী রোগ থাকলে ফুসফুসের ক্যান্সার আরও আড়ালে থেকে যায়।
advertisement
advertisement
advertisement
উচ্চ ঝুঁকির ক্ষেত্রেই লো-ডোজ সিটি স্ক্রিনিংয়ের কার্যকারিতা প্রমাণিত—৫০ বছরের বেশি বয়সী এবং দীর্ঘমেয়াদি ধূমপানের ইতিহাস থাকা ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে এই স্ক্রিনিংয়ে মৃত্যুহার প্রায় ২০ শতাংশ কমে। তবে ভারতে এই ধরনের সংগঠিত স্ক্রিনিং এখনও খুব সীমিত এবং বহু বাস্তব সমস্যার সম্মুখীন—অধূমপায়ী রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়া, টিবির মতো রোগের কারণে ভুল রিপোর্ট পাওয়া, এবং পরিকাঠামোর অভাব।
advertisement
গত দশকে উন্নত অস্ত্রোপচার, টার্গেটেড থেরাপি এবং ইমিউনোথেরাপির মাধ্যমে চিকিৎসা-পদ্ধতিতে অভাবনীয় অগ্রগতি হয়েছে। মলিকিউলার টেস্টিংয়ের মাধ্যমে এখন রোগীর ক্যান্সারের জেনেটিক গঠন বোঝা যায় এবং সেই অনুযায়ী নির্দিষ্ট চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব, যার ফলে রোগীর আয়ু এবং জীবনযাত্রার মান উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নত হয়েছে।
advertisement
advertisement
advertisement
যে কাশি তিন সপ্তাহের বেশি স্থায়ী হয় তাকে অবশ্যই গুরুত্ব দিয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন, এবং প্রতিটি সিগারেট এড়িয়ে যাওয়া একটি সম্ভাব্য জীবনকে রক্ষা করতে পারে। টাটা ক্যান্সার কেয়ার ফাউন্ডেশনের উদ্যোগ SVICCAR-এ প্রতিদিন দেখা যায়—সময়মতো চিকিৎসা শুরু হলে রোগীর পরিণতি কীভাবে বদলে যায়।
advertisement
advertisement
ড. সৌরভ চট্টোপাধ্যায়, সিনিয়র কনসালট্যান্ট অনকোলজিস্ট, টাটা ক্যান্সার কেয়ার ফাউন্ডেশন, বলেন— “ফুসফুসের ক্যান্সারকে শুধু ধূমপানের রোগ ভাবলে আমরা বিপদ ডেকে আনি। এখন আমাদের কাছে আগের চেয়ে অনেক বেশি অধূমপায়ী, তরুণ এবং মহিলা রোগী আসছেন। বায়ুদূষণ, প্যাসিভ স্মোকিং এবং দীর্ঘস্থায়ী রেসপিরেটরি ইনফেকশনের কারণে উপসর্গ অনেক সময় ঢেকে যায়, রোগীরা দেরিতে আসেন—আর সেই দেরিটাই রোগকে কঠিন করে তোলে।”
