তুষারঝড়ে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা ওয়েস্টার্ন নিউ ইয়র্কের বাফেলোর। ঝড়ের পরে গোটা শহরটাই প্রায় ৮ ফুট বরফের স্তরের নীচে ঢাকা পড়ে গেছে। হাজার চেষ্টা করেও বিপর্যস্ত মানুষদের কাছে পৌঁছতে পারছে না আপৎকালীন বাহিনীর সদস্যেরা। বিদ্যুৎহীন একাধিক এলাকা। কোথাও গাড়ির ভিতর থেকে নিথর দেহ উদ্ধার হয়েছে, কোথাও স্নো-ব্যাঙ্কের নীচ থেকে। বন্ধ শহরের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, নিষিদ্ধ করা হয়েছে গাড়ির চলাচলও।
advertisement
আরও পড়ুন,দক্ষিণ আফ্রিকায় গ্য়াস ট্য়াঙ্কারে ভয়াবহ বিস্ফোরণ, হতাহত বহু! দগ্ধ হয়ে রাস্তায় ছুটছেন মানুষ
আরও পড়ুন, বড়দিনের আনন্দে বড় কোপ! সঙ্গী খারাপ আবহাওয়া? জানুন হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস
বাফেলোর বাসিন্দা তথা নিউ ইয়র্কের গভর্নর ক্য়াথি হোচুল বলেন, "মনে হচ্ছে যেন যুদ্ধক্ষেত্রের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি। দুপাশে গাড়ির স্তূপ। রবিবার সন্ধে পর্যন্ত আবহাওয়া পরিস্থিতি খুবই খারাপ ছিল। আমরা সকলকে বাড়ির ভিতরেই থাকার পরামর্শ দিয়েছিলাম। কারণ, বাইরে তাপমাত্রা এত নেমে গিয়েছিল যে, কোনও মুহূর্তেই মানুষ মারা যেতে পারতেন।"
আবওহাওয়া দফতরের খবর, কোথাও কোথাও তাপমাত্রা হিমাঙ্কের ৪৮ ডিগ্রি নীচে চলে গিয়েছে। প্রবল শীতের কারণে নিমেষেই বরফে পরিণত হয়েছে ফুটন্ত জল।
প্রবল তুষারঝড়ের কারণে বহু জায়গার বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে পড়েছে। আমেরিকার বিভিন্ন জায়গায় দৃশ্যমানতা নেমে গিয়েছিল শূন্যে। পরিস্থিতি সামাল দিতে বিভিন্ন লাইব্রেরি এবং থানায় খোলা হয়েছিল ওয়ার্মিং সেন্টার। প্রচুর মানুষকে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে সেখানে।
শুধুমাত্র বাফেলোই নয়, পূর্ব আমেরিকার একাধিক স্টেটের কমপক্ষে ২ লক্ষ মানুষ এই তুষারঝড়ের ফলে বিপর্যয়ের মুখে পড়েছেন। কলোরাডো সহ ৯টি স্টেটে মৃত্যু হয়েছে মোট ৩১ জনের। যার মধ্যে কলোরাডোতে মারা গিয়েছেন ৪ জন।
অধিকাংশ মানুষই ক্রিসমাসের সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখেছেন, বাড়িতে বিদ্যুৎ নেই। বিভিন্ন জায়গায় বাতিল করা হয়েছে বিমান এবং রেল পরিষেবা। তাই ক্রিসমাস হলিডে প্ল্যান বাতিল করতে বাধ্য হয়েছেন অনেকেই। যদিও পাঁচদিন ধরে চলা তুষারঝড়ের গতি এখন অনেকটাই স্তিমিত।