রাষ্ট্রসঙ্ঘের মানবিক সহায়তা বিষয়ক প্রধান টম ফ্লেচার জানান, সোমবার গাজায় মাত্র ৫টি ট্রাক প্রবেশ করেছে, যাতে শিশু খাদ্য-সহ মানবিক সামগ্রী ছিল। এই সংখ্যাকে তিনি আখ্যা দিয়েছেন “সমুদ্রে এক বিন্দু জল”-এর মতো, কারণ ১১ সপ্তাহের অবরোধের পর এতটুকু সাহায্য যথেষ্ট নয়।
advertisement
গতবারও এইভাবেই লাফিয়ে বেড়েছিল ‘করোনা’! এই সময় ঘুরতে গেলে কোথায় কোথায় যাবেন না? জেনে নিন
BBC রেডিও ৪-এ সাক্ষাৎকারে টম ফ্লেচার বলেন, “আমরা যদি ওদের কাছে না পৌঁছোতে পারি, তাহলে আগামী ৪৮ ঘণ্টায় ১৪,০০০ শিশুর মৃত্যু হতে চলেছে… আমরা অসংখ্য ঝুঁকি নিচ্ছি এই শিশু খাদ্য মায়েদের কাছে পৌঁছে দিতে, যাঁরা বর্তমানে নিজেদের সন্তানদের খাওয়াতে অক্ষম কারণ তাঁরা অপুষ্টিতে ভুগছেন।”
তিন মিত্র দেশের চাপে নতি স্বীকার ইজরায়েলের
টম ফ্লেচারের এই মন্তব্যের আগে ব্রিটেন, ফ্রান্স ও কানাডার নেতারা একত্রে ইজরায়েলের “চরম ও নিন্দনীয় আচরণ” এর সমালোচনা করেন এবং হুঁশিয়ারি দেন, যদি দ্রুত মানবিক সহায়তায় নিষেধাজ্ঞা তুলে না নেওয়া হয়, তবে “যৌথ পদক্ষেপ” করা হবে। ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ ও কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি এই যৌথ বিবৃতিতে গাজার উপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা এবং ইজরায়েলি মন্ত্রীদের গণবহিষ্কারের হুমকি-র নিন্দা করেন।
ফ্লেচার বলেন, এই তিন দেশের এই অবস্থান ছিল “প্রবল শব্দে বলা” এবং আন্তর্জাতিক স্তরে এটি একটি সুস্বাগত পরিবর্তন।
গাজায় মানবিক সাহায্য না পৌঁছালে ১৪,০০০ শিশুর মৃত্যু হতে পারে!
আরও ১০০টি ট্রাক পাঠানোর চেষ্টা রাষ্ট্রসঙ্ঘের:
টম ফ্লেচার জানিয়েছেন, রাষ্ট্রসঙ্ঘ এদিন আরও ১০০টি ট্রাক গাজায় পাঠানোর চেষ্টা করছে, যার মধ্যে শিশু খাদ্য ও পুষ্টিকর সামগ্রী রয়েছে। তিনি আরও বলেন: “আমি আগামী ৪৮ ঘণ্টায় এই ১৪,০০০ শিশুর মধ্যে যত জনকে সম্ভব, বাঁচাতে চাই।”
১৪,০০০ শিশুর সংখ্যা কী ভাবে নির্ধারণ?
প্রশ্ন করা হলে ফ্লেচার জানান, রাষ্ট্রসঙ্ঘের দলগুলি এখনও গাজার ভিতরে চিকিৎসাকেন্দ্র, স্কুল প্রভৃতি স্থানে অবস্থান করছে ও চাহিদা নিরূপণ করছে। তিনি বলেন:
“আমাদের বহু শক্তিশালী দল সেখানে আছে— যদিও অনেকেই নিহত হয়েছেন… তবু যারা আছে, তারা হাসপাতাল ও স্কুলে থেকে চাহিদার হিসেব রাখছে।”
নেতানিয়াহুর প্রতিক্রিয়া— আন্তর্জাতিক চাপের মুখে রবিবার রাতে ইজরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু অবরোধ কিছুটা শিথিল করেন। তিনি বলেন,
“রাজনৈতিক কূটনৈতিক কারণে” গাজায় “ক্ষুধা সংকট” এড়ানো জরুরি, তাই সীমিত সহায়তা ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে।