অন্যদিকে সিরিয়ায় মৃতের সংখ্যা সবমিলিয়ে প্রায় ৬০০৷ সিরিয়ার যে অংশ সে দেশের সরকারের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, সেই এলাকায় মৃতের সংখ্যা ৩৭১৷ বিদ্রোহীদের হাতে থাকা অঞ্চলেও মৃতের সংখ্যা ২১১৷ ফলে তুরস্ক এবং সিরিয়া দুই দেশের মোট মৃতের সংখ্যা ইতিমধ্যেই ১৪০০ ছাড়িয়েছে৷
আরও পড়ুন: মারাত্মক ভূমিকম্পের কাঁপুনি, আতঙ্কে কাঁপছে তুরস্ক, গুড়ো গুড়ো হয়ে গেল সব
advertisement
এ দিন ভোররাতের ভয়াবহ ভূমিকম্পে তুরস্ক এবং সিরিয়ার বিস্তীর্ণ অংশ কার্যত ধ্বংসপুরীতে পরিণত হয়েছে৷ মাটিতে গুড়িয়ে গিয়েছে অসংখ্য বহুতল৷ ঘুমের মধ্যেই ধ্বংসস্তূপের নীচে চাপা পড়েছেন অধিকাংশ মানুষ৷ কম্পনের সময় নিরাপদ স্থানে বেরিয়ে আসার সময়টুকু পাননি তাঁরা৷ যে কারণে হতাহতের সংখ্যা এত বেশি৷
১৯৯৯ সালে এমনই এক ভয়াবহ ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছিল তুরস্ক৷ সেবার মৃতের সংখ্যা ১৭ হাজার ছুঁয়েছিল৷ এবারের বিপর্যয়ে শেষ পর্যন্ত হতাহতের সংখ্যা কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেটাই দেখার৷ ধ্বংসস্তূপের নীচে কত মানুষ চাপা পড়ে রয়েছেন, এখনও তার হিসেব নেই৷ ফলে হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়বে, এমন আশঙ্কা প্রবল৷
তুরস্কের এই বিপর্যয়ে ইতিমধ্যেই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে নেদারল্যান্ডস, রোমানিয়া,স্পেন, পোল্যান্ডের মতো ইউরোপের দেশগুলি৷ ধ্বংসস্তূপের নীচে জীবিতদের চিহ্নিত করতে কোপারনিকাস স্যাটেলাইট ম্যাপিং সার্ভিসের মাধ্যমে তুরস্ককে সহযোগিতা করছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন৷
আরও পড়ুন: তুরস্ক-সিরিয়ায় বিপর্যয়, ভূমিকম্পে মৃত প্রায় ৬০০! পাশে থাকার বার্তা মোদির
শোকপ্রকাশ করে যাবতীয় সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও৷ ভারত থেকে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর দু'টি দল তুরস্কে যাচ্ছে৷ সঙ্গে পাঠানো হচ্ছে অত্যাবশ্যকীয় সামগ্রী৷ উদ্ধারকারী দল তৈরি রেখেছে তাইওয়ানও৷
এ দিন ভোর রাতের ভূমিকম্পের তীব্রতা রিখটার স্কেলে ছিল ৭.৮৷ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, এর পরেও অন্তত দু'বার জোরালো কম্পন অনুভূত হয়েছে তুরস্কে৷