ডেইলি মেইলের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আদালত তাকে অপরাধীদের নিয়ে দল গঠন এবং নাবালিকাদের যৌন শোষণসহ অন্যান্য অপরাধের জন্য দোষী সাব্যস্ত করেছে। এখন নারীরা খোলাখুলি কথা বলছে তার বিরুদ্ধে। মহিলারা জানিয়েছেন, তারা ভয়ংকর নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। একজন মহিলা বলেছিলেন, ১৬ বছর বয়সে ওকতার তাঁকে যৌন নির্যাতন করেন। তিনি আরও দাবি করেছেন, ২০ বছর বয়সে তাঁকে অজ্ঞান না করেই রাইনোপ্লাস্টি করতে বাধ্য করা হয়েছিল। তিনি বলেন, অপারেশনে তিনি গুরুতর আহত হয়েছিলেন।
advertisement
আরও পডুন- শুধু শরীরেই ২ কিলো, তার ওপর সোনায় মোড়া বাইক-চারচাকায় ঘুরে বেড়ান এই ব্যক্তি !
৭৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে
ওই ধর্মগুরুর বিরুদ্ধে যৌন অপরাধ, নাবালিকাদের যৌন নির্যাতন, প্রতারণা এবং রাজনৈতিক ও সামরিক বিভাগে গোয়েন্দাগিরির অভিযোগ রয়েছে। ২৩৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে এবং এরই মধ্যে ৭৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গুরুতর যৌন অপরাধের অভিযোগও অন্তর্ভুক্ত ছিল ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে। ওকতার গত ডিসেম্বরে বিচারককে জানান, তার প্রায় এক হাজার বান্ধবী রয়েছে। অক্টোবরে আরেকটি শুনানিতে তিনি বলেছিলেন, আমার হৃদয় নারীদের প্রতি ভালবাসায় প্লাবিত হয়েছিল। ভালবাসা একটি মানবিক গুণ। ওকতার অন্য একটি অনুষ্ঠানে বলেছিলেন, তিনি অসাধারণ শক্তিশালী।
পুলিশ তার বাড়ি থেকে ৬৯ হাজার গর্ভনিয়ন্ত্রক পিল খুঁজে পেয়েছে। ওকতার বলেছে, সেগুলো চর্মরোগ ও মহিলাদের মাসিকের অনিয়মের চিকিৎসায় ব্যবহার করা হত।
আরও পড়ুন- মাটি খুঁড়তেই হাজার শিশুর কবর! হাড়হিম ঘটনা ঘটেছিল স্কুলে! তাজ্জব গোটা বিশ্ব
ডারউইনের বিবর্তন তত্ত্বকে প্রত্যাখ্যান করত ওখতার। 'দ্য এটলাস অফ ক্রিয়েশন' নামে ৭৭০ পৃষ্ঠার একটি বইও লিখেছিল। ওকতারকে তুরস্কে ধর্ষণ, শিশু নির্যাতন, গুপ্তচরবৃত্তি এবং ব্ল্যাকমেইলের অভিযোগে ১০৭৫ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। ৬৪ বছর বয়সী ওকতার সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে।