মূলত ভারত ও মলদ্বীপের মধ্যে সম্পর্ককে মজবুত করতেই বিদেশমন্ত্রীর এই সফর৷
বিদেশ মন্ত্রক সরকারি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘‘মলদ্বীপের রাষ্ট্রপতি ড: মোহাম্মদ মুইজ্জু ভারতের নতুন মন্ত্রীসভার শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন৷ মলদ্বীপ ভারতের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেশী৷ দু’দেশের মধ্যে সম্পর্ককে মজবুত করার লক্ষ্যেই এই সফর’’
আরও পড়ুন: নতুন হামাস প্রধান সিনওয়ার, হামাসকে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়ার সংকল্প ইজরায়েলের
advertisement
মলদ্বীপের পর্যটক মন্ত্রী কয়েকদিন আগে ভারতীয় পর্যটকদের মলদ্বীপে আবার যাওয়ার জন্য অনুরোধ করেন৷
প্রসঙ্গত, মলদ্বীপের রাষ্ট্রপতি মহম্মদ মুইজ্জু ক্ষমতায় আসার পর থেকেই ভারত-মলদ্বীপ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ক্রমশ অবনতি হয়েছে৷ সম্প্রতি ভারতের প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে মলদ্বীপের মন্ত্রীসভার তিন মন্ত্রী অপমানসূচক মন্তব্য করেন৷
এছাড়াও মুইজ্জুর শাসনকালে ভারতের সঙ্গে হাইড্রোগ্রাফিক চুক্তি বাতিল করা হয়েছিল৷ চিনের গুপ্তচর জাহাজকেও মলদ্বীপ তাঁর জলসীমা ব্যবহারের অনুমতি দেয়৷
এর পরেই সমাজমাধ্যমে মলদ্বীপ বয়কটের ডাক ওঠে৷ ভারতের সঙ্গে এই দেশের সম্পর্ক ক্রমশ তলানিতে যেতে থাকে৷ ইতিমধ্যে চিনের সঙ্গেও ঘনিষ্ঠতা বাড়িয়েছেন মুইজ্জু। এমনকি, মলদ্বীপ থেকে ভারতীয় সেনা সরানোর নির্দেশও দেন তিনি। যা নিয়ে কম বিতর্ক হয়নি।
এই আবহের মধ্যে মলদ্বীপের রাষ্ট্রপতির ভারত সফর, সেখানকার পর্যটনমন্ত্রীর ভারতীয়দের আহ্বান বরফ গলার একটা ইঙ্গিত দিয়েছিল৷ এই আবহে এস জয় শঙ্করের মলদ্বীপ সফর দুই দেশের সম্পর্কের জন্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন কুটনৈতিক মহল৷