জানা গিয়েছে, বুধবার ভারতীয় সময় রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ জাহাজটিতে বিস্ফোরণ ঘটে। ফলে আগুন ধরে যায় জাহাজটিতে। তবে কীভাবে ওই বিস্ফোরণ ঘটল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অধীন একটি সরকারি সংস্থা। এই সংস্থার সাধারণ পণ্যবাহী জাহাজ বাংলার সমৃদ্ধি ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরে পৌঁছেছিল। গত ২১ ফেব্রুয়ারি থেকে জাহাজটি সেখানেই রয়েছে। জাহাজটিতে বাংলাদেশের ২৯ জন নাবিক রয়েছেন।
advertisement
এখনও রাশিয়া ইউক্রেনে লাগাতার হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। হামলার সপ্তম দিনে বাংলাদেশি জাহাজে ওই গোলার আঘাতের ঘটনা ঘটল। জানা গিয়েছে, জাহাজটিতে অন্তত ২৫ দিনের রসদ মজুত আছে। খাদ্য কিংবা জ্বালানির কোন সমস্যা হবে না। ইউক্রেনের পরামর্শেই জাহাজটি নোঙর করে আছে অলভিয়া বন্দরে। মূলত নিরাপত্তার জন্যই ইউক্রেন জাহাজটি বন্দর ত্যাগের ছাড়পত্র দিচ্ছে না।
আরও পড়ুন: ইউক্রেনে পণবন্দি ভারতের হাজার-হাজার পড়ুয়া? রাশিয়ার দাবিতে তোলপাড় বিশ্ব
আরও জানা গিয়েছে, অলভিয়া বন্দর ত্যাগ করতে জাহাজটির ইউক্রেনের পাশাপাশি রাশিয়ারও ক্লিয়ারেন্স লাগবে। যুদ্ধ পরিস্থিতির কারণে নোঙর করা অবস্থান থেকে বেশ দূরে সমুদ্রপথে মাইন স্থাপন করা হয়েছে। নিরাপত্তার বিষয়ে নিশ্চয়তা পেলে খুব দ্রুত অলভিয়া বন্দর ত্যাগ করবে জাহাজটি। পণ্য পরিবহণ করতে গত ২২ ফেব্রুয়ারি এমভি বাংলার সমৃদ্ধি ইউক্রেনের ওই বন্দরে পৌঁছে। তুরস্কের এরেগলি বন্দর থেকে গত ২১ ফেব্রুয়ারি খালি অবস্থায় ওলভিয়া বন্দরের উদ্দেশে যায়। ২২ ফেব্রুয়ারি সেই বন্দরে পৌঁছে পণ্য ভর্তি করার প্রস্তুতিও শুরু করে। কিন্তু যুদ্ধ শুরু হওয়ায় জাহাজটি আটকে পড়ে ওই বন্দরে। জাহাজটিতে ক্যাপ্টেন ক্যাডেটসহ ২৯ নাবিক ছিলেন। এর মধ্যে দুজন নারী ক্যাডেট।
আরও পড়ুন: 'খেলা হবে' থেকে 'SHE', এক ডজন সম্ভার নিয়ে ফের 'সুপারহিট' মুখ্যমন্ত্রী!
কুর্দস গ্লোবাল নামের এক ফেসবুক পেজে একটি জাহাজে বিস্ফোরণ ও আগুন ধরে যাওয়ার দৃশ্য দেখা গিয়েছে। ইউক্রেনের সমুদ্র বন্দর কর্তৃপক্ষের তরফে ওই ফেসবুক পোস্টে বলা হয়েছে, একটি রকেট আঘাত হানার পর ৩৬৩ নম্বর অ্যাঙ্করেজে থাকা বাংলাদেশের 'সমৃদ্ধি'তে আগুন ধরে যায়। পরে বন্দর থেকে দুটি টাগবোট পাঠানো হয় সেখানে।