পারমাণবিক কেন্দ্র থেকে তেজষ্ক্রিয় রশ্মি ছড়িয়ে পড়তে পারে বলেও উদ্বেগ বাড়তে থাকে৷ যদিও সর্বশেষ খবর অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত ওই পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের থেকে তেজষ্ক্রিয় বিকিরণের স্তর নির্দিষ্ট সীমার মধ্যেই রয়েছে৷
ইন্টারন্যাশনাল অ্যাটোমিক এনার্জি এজেন্সির তরফে ট্যুইট করে একই কথা জানানো হয়েছে৷ পাশাপাশি, ওই পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে রুশ গোলাবর্ষণ বন্ধ হয়েছে বলেও খবর৷
আরও পড়ুন: ইউক্রেনে গুলিবিদ্ধ আরও এক ভারতীয় ছাত্র, ভর্তি কিভের হাসপাতালে
পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রে রুশ হামলা শুরু হওয়ার পরই তা বন্ধ করার আর্জি জানিয়ে হুঁশিয়ারি দেন ইউক্রেনের বিদেশমন্ত্রী দিমিত্র কুলেবা৷ রাশিয়াকে সতর্ক করে তিনি জানান, পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রে গোলাবর্ষণ বন্ধ না হলে চের্নোবিলের থেকে দশগুণ বড় বিপর্যয় ঘটে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে৷
আরও পড়ুন: ইউক্রেন সঙ্কটে বিরল ছবি দিল্লিতে, সরকারের পাশে কংগ্রেস সহ বিরোধীরা
জাপোরিঝঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মুখপাত্র জানিয়েছেন, রুশ বোমারু বিমানের হামলায় বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রায় সবকিছুই ধ্বংস হয়ে গিয়েছে৷ ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণও খতিয়ে দেখা হচ্ছে৷ জাপোরিঝঝিয়ায় রুশ হামলার পরেই ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে কথা বলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন৷ রাশিয়া পরমাণু যুদ্ধ শুরু করতে চাইছে বলেও ইউক্রেনের তরফে অভিযোগ করা হয়েছে৷
আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি এজেন্সির তরফেও রাশিয়ার কাছে ইউক্রেনের সমস্ত পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রে হামলা চালানো বন্ধ করার দাবি জানানো হয়েছে৷ প্রসঙ্গত, জাপোরঝঝিয়ার এই কেন্দ্র থেকেই ইউক্রেনের চল্লিশ শতাংশ বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়৷