২২ এপ্রিল পহেলগাঁও সন্ত্রাসী হামলার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী মোদি জিজ্ঞাসা করেন, “কিছু দেশের সন্ত্রাসবাদের প্রতি প্রকাশ্য সমর্থন কি আমাদের কাছে গ্রহণযোগ্য হতে পারে? পহেলগাঁও সন্ত্রাসী হামলা কেবল ভারতের আত্মার উপর আক্রমণ ছিল না বরং মানবতার উপর বিশ্বাসী সমস্ত দেশের জন্য একটি খোলা চ্যালেঞ্জ ছিল। এটি একটি গুরুতর প্রশ্ন উত্থাপন করে- সন্ত্রাসবাদকে প্রকাশ্যে সমর্থনকারী একটি দেশ কি আমাদের কারও কাছে গ্রহণযোগ্য হতে পারে?” প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, “সন্ত্রাসবাদ এবং চরমপন্থা মানবতার জন্য একটি যৌথ চ্যালেঞ্জ। এই হুমকি থাকলে কোনও দেশ কোনও সমাজ নিরাপদ বোধ করতে পারে না।” সঙ্গে এটাও জানাতে ভোলেননি যে নিরাপত্তা প্রতিটি দেশের অধিকার। প্রধানমন্ত্রী সাফ বলেন, “আল-কায়দা এবং তার সহযোগীদের মতো সন্ত্রাসী সংগঠনগুলির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ভারত নেতৃত্ব দিয়েছে এবং আমরা যে কোনও ধরনের সন্ত্রাস-অর্থায়নের বিরোধিতা করি।” পহেলগাঁও সন্ত্রাসী হামলার বিষয়ে আরও বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, “আমরা পহেলগাঁওতে সন্ত্রাসবাদের খুব খারাপ চেহারা দেখেছি। আমাদের পাশে থাকা সমস্ত বন্ধুত্বপূর্ণ দেশগুলিকে আমি ধন্যবাদ জানাই। আমরা আমাদের সন্তানদের হারিয়েছি এবং অনেকেই অনাথ হয়েছি। ভারত গত চার দশক ধরে সন্ত্রাসবাদের ভয়াবহতার মুখোমুখি হচ্ছে।”
advertisement
সন্ত্রাসবাদে অর্থায়নকে ‘গুরুতর উদ্বেগ’ হিসাবে অভিহিত করে প্রধানমন্ত্রী এসসিও সদস্যদের মৌলবাদ মোকাবিলায় প্রচেষ্টা জোরদার করার আহ্বান জানিয়েছেন। শীর্ষ সম্মেলন শুরুর আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সংগঠনের অন্য নেতাদের সঙ্গে ব্লকের ভবিষ্যত পথ নির্ধারণের জন্য দিনব্যাপী আলোচনা করেন। চিনের রাষ্ট্রপতি শি জিনপিং নেতাদের স্বাগত জানান। রবিবার রাতে তিয়ানজিনে আয়োজিত বিশাল ভোজসভার মধ্য দিয়ে ২৫তম শীর্ষ সম্মেলন আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়। এতে অন্যদের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী মোদি এবং রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিনও উপস্থিত ছিলেন।
এই বছরের শীর্ষ সম্মেলনকে এসসিও গ্রুপের মধ্যে সবচেয়ে বড় বলে মনে করা হচ্ছে, কারণ এই বছর সংস্থার সভাপতিত্বকারী চিন এসসিও প্লাস শীর্ষ সম্মেলনে যোগদানের জন্য ২০ জন বিদেশি নেতা এবং ১০ জন আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রধানকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে। যার মধ্যে জাতিসঙ্ঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসও রয়েছেন।