বিমানটি যখন ৩৬,০০০ ফুট উচ্চতায় উড়ছিল, তখন আচমকাই বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হয় এবং ১০ মিনিটের মধ্যেই বিমানটি প্রায় ২৬,০০০ ফুট নিচে নেমে আসে। কেবিনে অক্সিজেন মাস্ক ঝুলে পড়ে, এয়ার হোস্টেসরা চিৎকার করে যাত্রীদের মাস্ক পরার নির্দেশ দেন। আতঙ্কিত যাত্রীরা কেউ কেউ শেষ ইচ্ছা লিখে ফেলেন, কেউ আবার পরিবারের সঙ্গে শেষবারের মতো ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেন।
advertisement
আরও পড়ুন: আর একটু হলেই, চলন্ত গাড়ির সামনেই পড়ল ইরানের মিসাইল, বিষ্ফোরণে কাঁপল সবকিছু! দেখুন সেই ভিডিও…
পরে বোঝা যায়, বিমানটির প্রেসারাইজেশন সিস্টেমে সমস্যা দেখা দিয়েছিল। পাইলটরা অবিলম্বে ইমারজেন্সি অবতরণের সিদ্ধান্ত নেন। রাত ৮:৫০ নাগাদ বিমানটি সফলভাবে ওসাকা কানসাই ইন্টারন্যাশনাল বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
খুব স্বাভাবিক প্রশ্ন, ঘটনায় কারও কিছু ক্ষতি হয়েছে কি না৷ না, কারও শারীরিক দিক থেকে ক্ষতি না হলেও মানসিকভাবে অনেক যাত্রী তীব্র ধাক্কা খান। নিজের ভুল ত্রুটি মেনে নিয়ে যাত্রীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থাও করে দেওয়া হয়৷ জানা গিয়েছে, প্রত্যেক যাত্রীকে ক্ষতিপূরণ বাবদ ১৫,০০০ ইয়েন (প্রায় ৭,৭০০) এবং হোটেলে এক রাত থাকার ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়।
এই ঘটনার তদন্ত করছে জাপানের এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ। এখনও পর্যন্ত জাপান এয়ারলাইন্স বা বোয়িং-এর পক্ষ থেকে সরকারিভাবে কোনও মন্তব্য আসেনি।
আরও পড়ুন: মাটি খুঁড়তেই মিলল ভয়ঙ্কর জিনিস! সেপটিক ট্যাঙ্কে ৮০০ শিশুর কঙ্কাল, কোথায় জানুন হাড়হিম করা ঘটনাটি…
এই ঘটনার সঙ্গে মিল খুঁজে পাচ্ছেন? কিছুদিন আগেই আহমেদাবাদ-লন্ডন রুটে চলা বোয়িং বিমানের ভয়াবহ দুর্ঘটনার কাঁপিয়ে দিয়েছিল গোটা বিশ্বকে। সেই ফ্লাইটেও মাঝ আকাশে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে মাটিতে আছড়ে পড়েছিল বোয়িং৷ একজন বাদে বাকি সব যাত্রীরাই প্রাণ হারিয়েছিলেন৷
একাধিক দুর্ঘটনার কারণে বোয়িং-এর নির্মিত বিমানের প্রতি যাত্রীদের আস্থা প্রশ্নের মুখে। বিশেষজ্ঞদের মতে, যদি এমন ঘটনা বারবার ঘটে, তাহলে বৈশ্বিক বিমান নিরাপত্তা ব্যবস্থায় বড়সড় সংস্কার জরুরি হয়ে পড়বে। তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশ হলে বোঝা যাবে জাপানে হওয়া এই দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ এবং ভবিষ্যতে এমন ঘটনা ঠেকাতে কী ব্যবস্থা নেওয়া যায়।