দেশে বৈদেশিক মুদ্রার ঘাটতির কারণে বর্তমানে সব আমদানি খাতে রাশ টানার কথা জানিয়েছে সরকার। বর্তমানে যে পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা রয়েছে তাতে দুই মাসেরও কম সময়ের জন্য কাজ চলতে পারে। এমতাবস্থায় এটিকে তহবিলের জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ব্যবহার করতে নারাজ পাকিস্থান সরকার।
এই মুহূর্তে পাকিস্তান বিশ্বের বৃহত্তম চা আমদানিকারক দেশ। গত বছর দেশ প্রায় ৬০০ মিলিয়ন মূল্যের বেশি চা আমদানি করেছে। পাকিস্তানি মিডিয়া থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, আহসান ইকবাল জানিয়েছেন, ‘আমি সমগ্র জাতির কাছে আবেদন রাখছি যাতে তাঁরা প্রতিদিনের ব্যবহার্য চায়ের কাপ থেকে এক-দু’কাপ চা খাওয়া কমিয়ে দেন কারণ আমরা বর্তমানে ঋণের মাধ্যমে চা আমদানি করি।’
advertisement
এছাড়াও তিনি আরও পরামর্শ দিয়েছেন যে, ব্যবসায়ীরা যেন বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের জন্য তাঁদের দোকানপাট রাত সাড়ে দশটার মধ্যে বন্ধ করে দেন। পাকিস্তানের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দ্রুত পতনের ফলে উচ্চ আমদানি খরচ কমাতে এবং দেশে তহবিলের ভারসাম্য বজায় রাখতে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে বৈদেশিক মুদ্রার ঘাটতিতে সরকারের ওপর নানান ভাবে চাপ সৃষ্টি হচ্ছে।
আরও পড়ুন: কয়লা পাচারকাণ্ডে নতুন মোড়, বিধায়কের ছায়াসঙ্গীকে তলব! নতুন ছক সিবিআই-এর?
চা-পান কমানোর অনুরোধ ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। অনেকেই মনে করছেন সরকারের উচিত ক্যাফিনযুক্ত পানীয় বাদ দিয়ে দেশের গুরুতর আর্থিক সমস্যাগুলি সমাধান করা।
পাকিস্তানের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ফেব্রুয়ারি মাসে প্রায় ১৬ বিলিয়ন ডলার থেকে নেমে জুনের প্রথম সপ্তাহে ১০ বিলিয়নের নিচে নেমে এসেছে, যাতে মাত্র দুই মাসের আমদানির খরচ মেটানো সম্ভব।
আরও পড়ুন: অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষীর ফ্ল্যাটে সিবিআই, বড় কোনও চমক অপেক্ষায়?
এই অর্থনৈতিক সংকট শেহবাজ শরিফ (Shehbaz Sharif) যিনি এপ্রিলে সংসদীয় ভোটে ইমরান খানকে (Imran Khan) পরাজিত করে সংসদে এসেছেন তাঁর জন্য এক কঠিন চ্যালেঞ্জ। শপথ নেওয়ার পর পরই শরিফ খানের বিদায়ী সরকারকে অর্থনীতির পতনের জন্য অভিযুক্ত করে বলেছিলেন যে দেশকে আবার সঠিক দিশায় ফিরিয়ে আনা তাঁদের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠবে।
গত সপ্তাহে পাকিস্তান মন্ত্রিসভায় ৪৭ বিলিয়ন ডলার অঙ্কের বাজেট পেশ করেছে যার লক্ষ্য হবে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলে ভারসাম্য ফিরিয়ে আনা।