একটি ভিডিওতে ন্যায় বিচারের আবেদন জানিয়েছেন পাকিস্তানি মহিলা নিকিতা নাগদেব৷ নিকিতার অভিযোগ, তাঁর স্বামী বিক্রম নাগদেব পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত৷ এবং ভারতের ইন্দোরে দীর্ঘমেয়াদী ভিসায় বসবাস করছেন৷ তাঁর দাবি, স্বামী তাকে জোর করে করাচিতে পাঠিয়ে দিয়েছেন এবং আর ভারতে ঢুকতে দেননি।
advertisement
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে ওই ভিডিওতে সরাসরি আবেদন জানিয়েছেন সাহায্যের জন্য৷ ভিডিওতে তিনি আরও অভিযোগ করেছেন, ভারতে স্বামীর বাড়িতে যাওয়ার পরপরই তিনি জানতে পারেন তার স্বামী অন্য এক মহিলার সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছেন৷ মানসিক নির্যাতনেরও অভিযোগ তুলেছেন ওই মহিলা৷ ভিডিও সামনে আসতেই দ্রুত ভাইরাল হয়ে যায়৷
নিকিতার দাবি, তিনি অভিযোগ দায়ের করার পরই কেবলমাত্র কিছু মধ্যস্থতার চেষ্টা হয়েছিল৷ তখনই তিনি জানতে পারেন বিক্রম নাগদেব দিল্লিতে দ্বিতীয় বিয়ের পরিকল্পনা করছেন। সিন্ধি পঞ্চ মেডিয়েশন এন্ড লিগাল কাউন্সিল সেন্টার সুপারিশ করেছে, ওই ব্যক্তিকে পাকিস্তানে ফেরত পাঠানো উচিত৷ স্থানীয় প্রশাসন ঘটনা খতিয়ে দেখছে৷
আরও পড়ুন: পোষ্য কুকুরকে বিষ খাইয়ে খুন করা হয়েছে! নরেন্দ্রপুরের পশুকেন্দ্রের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ
প্রসঙ্গত ভিডিওতে মহিলা জানিয়েছেন, তিনি ২৬ জানুয়ারি, ২০২০-সালে পাকিস্তানের করাচিতে হিন্দু রীতিনীতি মেনেই বিক্রমকে বিয়ে করেন৷ এক মাস পর, ২৬ ফেব্রুয়ারি, বিক্রম তাকে ভারতে নিয়ে আসেন। কিন্তু ভারতে আসার কয়েক মাসের মধ্যেই নাকি বদলে যায় পরিস্থিতি৷ ৯ জুলাই, ২০২০-তে তাকে জোর করে পাকিস্তানে ফেরত পাঠানো হয় বলে অভিযোগ করেছেন মহিলা৷ নিকিতার অভিযোগ আটারি সীমান্তে “ভিসার টেকনিক্যাল সমস্যা” দেখিয়ে তাকে ফেলে রেখে চলে যায় স্বামী বিক্রম৷
ওই মহিলা অভিযোগ করেন, তিনি যখন শ্বশুরবাড়ি ফেরেন, “তাদের আচরণ পুরোপুরি বদলে যায়”। তিনি দাবি করেন, তিনি জানতে পারেন তার স্বামী এক আত্মীয়ার সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছেন। তিনি যখন বিষয়টি শ্বশুরকে জানান, তখন নাকি তাকে বলা হয়, “ছেলেদের সম্পর্ক হয়, কিছু করার নেই”। তিনি আরও অভিযোগ করেন, Covid-১৯ লকডাউনের সময় বিক্রম তাকে পাকিস্তানে ফিরে যেতে চাপ দেন এবং পরে ভারতে ঢুকতে দেননি।
