আরও পড়ুন- মূল্যবান সরকারি নেকলেস ১৮ কোটি টাকায় বেচে দিলেন প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান
প্রথম স্ত্রীর মৃত্যুর পর ১৯৯৩ সালে আলিয়া হানি নামে একজন উঠতি মডেলের সঙ্গে শেহবাজ দ্বিতীয়বার গাঁটছড়া বাঁধেন বলে জানা যায়। আলিয়াকে বিয়ে করার সময় শেহবাজের বয়স ছিল ৪৩ বছর।
লাহোরে ‘হানি ব্রিজ’ নামের সেতুর নাম বদলে আলিয়ার নামে নামকরণ করা হয়। শেহবাজ শরিফ যখন পাকিস্তানের পঞ্জাব প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন তখনই এই সেতু নির্মিত হয়েছিল।
advertisement
ঘোড়ায় টানা সেতুটি তৈরি করা হয়েছিল যাতে তিনি সহজেই তাঁর স্ত্রীর বাসভবনে পৌঁছতে পারেন। অনেকে আবার বলেন, এটি তৈরি করা হয়েছিল যাতে তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রীর নিজের অফিস থেকে ফিরতে দেরি না হয়।
তবে, শেহবাজ শরিফ এবং আলিয়ার বিবাহ দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। শোনা যায় শেহবাজ সৌদি আরবে নির্বাসিত থাকার সময় বিবাহবিচ্ছেদ ঘটে। বিবাহবিচ্ছেদের কয়েক মাস পরই রহস্যজনক মৃত্যু ঘটে আলিয়া হানির।
ওই একই বছর ১৯৯৩ সালে, শেহবাজ শরিফ তৃতীয়বার পাকিস্তানের ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সির মহাপরিচালক তারিক খোসার বোন নিলোফার খোসাকে বিয়ে করেন। সূত্রের খবর অনুযায়ী, শেহবাজ শরিফের তৃতীয় বিয়েও সফল হয়নি।
আরও পড়ুন- সূর্যাস্তের পরে মন্দিরে ঢুকলে জ্যান্ত মানুষ হয়ে যায় পাথর! কী রহস্য এই মন্দিরের?
সূত্রের খবর, পরপর দু’টি অসফল বিয়ের পর, শেহবাজ শরিফ বেশ কয়েক বছর অপেক্ষা করেছিলেন এবং তারপর ২০০৩ সালে গোপনে সমাজকর্মী এবং ঔপন্যাসিক তেহমিনা দুরানিকে বিয়ে করেন। শেহবাজ শরিফের দ্বিতীয় স্বীকৃত স্ত্রী তেহমিনা। আট বছর একসঙ্গে থাকার পর দু’জনে বিয়ে করেন বলে জানা যায়। সরকারি কর্মকর্তারা বা শরিফ পরিবার সহ কেউই তাঁদের বিয়ের কথা জানতেন না।
২০১২ সালে ৬০ বছর বয়সে শেহবাজ পঞ্চমবার বিয়ে করেন কালসুম হাইকে। সূত্রের খবর, দু’জনের ইতিমধ্যেই বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছে এবং কালসুম হাই শেহবাজ শরিফের সঙ্গে তাঁর বিয়ের সমস্ত দাবি অস্বীকার করেছেন।