Kiradu Temple: সূর্যাস্তের পরে মন্দিরে ঢুকলে জ্যান্ত মানুষ হয়ে যায় পাথর! রহস্যময় ভারতের এই আজব মন্দির

Last Updated:
Haunted Temples in India: গ্রামের বাসিন্দাদের বিশ্বাস, সূর্য অস্ত যাওয়ার পর কেউ যদি এই মন্দিরে প্রবেশ করে তাহলে তাঁর মৃত্যু অবধারিত।
1/6
ভ্রমণপিপাসুদের কাছে রাজস্থান বরাবরই আকর্ষণের কেন্দ্র। শুধু এখানকার দুর্গ আর সংস্কৃতি নয়, রাজস্থানের ইতিহাস, মরুভূমির বৈশিষ্ট্য আর নানান লোককথায় রহস্যে আবৃত এই রাজ্য। রাজস্থানের কুলধারা গ্রাম এবং ভানগড় ফোর্টের ভুতুড়ে গল্পের কথা অনেকেই জানেন। তবে এছাড়াও রাজস্থানের আরেকটি এমন স্থান রয়েছে, যার রহস্যের টানে ছুটে যান মানুষ।
ভ্রমণপিপাসুদের কাছে রাজস্থান বরাবরই আকর্ষণের কেন্দ্র। শুধু এখানকার দুর্গ আর সংস্কৃতি নয়, রাজস্থানের ইতিহাস, মরুভূমির বৈশিষ্ট্য আর নানান লোককথায় রহস্যে আবৃত এই রাজ্য। রাজস্থানের কুলধারা গ্রাম এবং ভানগড় ফোর্টের ভুতুড়ে গল্পের কথা অনেকেই জানেন। তবে এছাড়াও রাজস্থানের আরেকটি এমন স্থান রয়েছে, যার রহস্যের টানে ছুটে যান মানুষ।
advertisement
2/6
মরুভূমি ঘেঁষা বারমের শহর থেকে ৩৫ কিলোমিটার দূরে সিহনি গ্রামে অবস্থিত অভিশপ্ত কিরাডু মন্দির। মন্দিরের ভাস্কর্য শুধু শিল্পী নয় নজর টানবে যে কোনও মানুষেরই। এই মন্দিরের ভাষ্কর্যের সঙ্গে খাজুরাহো মন্দিরের মিল থাকায় কিরাডু ‘রাজস্থানের খাজুরাহো’ নামেও পরিচিত৷
মরুভূমি ঘেঁষা বারমের শহর থেকে ৩৫ কিলোমিটার দূরে সিহনি গ্রামে অবস্থিত অভিশপ্ত কিরাডু মন্দির। মন্দিরের ভাস্কর্য শুধু শিল্পী নয় নজর টানবে যে কোনও মানুষেরই। এই মন্দিরের ভাষ্কর্যের সঙ্গে খাজুরাহো মন্দিরের মিল থাকায় কিরাডু ‘রাজস্থানের খাজুরাহো’ নামেও পরিচিত৷
advertisement
3/6
তবে সন্ধার পর কেউ এই মন্দিরে প্রবেশ করতে পারেন না। গ্রামের বাসিন্দাদের বিশ্বাস, সূর্য অস্ত যাওয়ার পর কেউ যদি এই মন্দিরে প্রবেশ করে তাহলে তাঁর মৃত্যু অবধারিত। আর যদি কেউ প্রাণে বেঁচেও যায় তাহলেও সে সশরীরে ফিরে আসার আগেই পাথরের মূর্তি হয়ে যায়!
তবে সন্ধার পর কেউ এই মন্দিরে প্রবেশ করতে পারেন না। গ্রামের বাসিন্দাদের বিশ্বাস, সূর্য অস্ত যাওয়ার পর কেউ যদি এই মন্দিরে প্রবেশ করে তাহলে তাঁর মৃত্যু অবধারিত। আর যদি কেউ প্রাণে বেঁচেও যায় তাহলেও সে সশরীরে ফিরে আসার আগেই পাথরের মূর্তি হয়ে যায়!
advertisement
4/6
স্থানীয়দের এই বিশ্বাসের পিছনে রয়েছে এক বিচিত্র কাহিনি। বলা হয়, বহু বছর আগে কিরাডু মন্দিরে একজন সন্ন্যাসী এসেছিলেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন একদল শিষ্য! একদিন তাঁর এক শিষ্য খুব অসুস্থ হয়ে পড়েন। সেসময় মন্দিরে উপস্থিত অনান্য শিষ্যরা গ্রামবাসীদের কাছে তাঁকে সুস্থ করার জন্য সাহায্য চান। কিন্তু কেউ কোনও সাহায্য করতে এগিয়ে আসেননি। গ্রামবাসীদের এই আচরণে বেজায় রেগে যান সন্ন্যাসী। তিনি অভিশাপ দেন, যেসব মানুষের হৃদয় পাষাণের মতো, তাদের মানুষের রূপে থাকার কোনও অধিকার নেই! পাথর হয়ে যাওয়া উচিত।
স্থানীয়দের এই বিশ্বাসের পিছনে রয়েছে এক বিচিত্র কাহিনি। বলা হয়, বহু বছর আগে কিরাডু মন্দিরে একজন সন্ন্যাসী এসেছিলেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন একদল শিষ্য! একদিন তাঁর এক শিষ্য খুব অসুস্থ হয়ে পড়েন। সেসময় মন্দিরে উপস্থিত অনান্য শিষ্যরা গ্রামবাসীদের কাছে তাঁকে সুস্থ করার জন্য সাহায্য চান। কিন্তু কেউ কোনও সাহায্য করতে এগিয়ে আসেননি। গ্রামবাসীদের এই আচরণে বেজায় রেগে যান সন্ন্যাসী। তিনি অভিশাপ দেন, যেসব মানুষের হৃদয় পাষাণের মতো, তাদের মানুষের রূপে থাকার কোনও অধিকার নেই! পাথর হয়ে যাওয়া উচিত।
advertisement
5/6
সন্ন্যাসীর অভিশাপে সব গ্রামবাসীরাই নাকি পাথর হয়ে যায়। তবে তাঁদের মধ্যে শুধুমাত্র একজন মহিলা ওই শিষ্যকে সাহায্য করেছিলেন! সন্ন্যাসীর তাঁর ওপর দয়া হলে তিনি মহিলাকে ওই গ্রাম ছেড়ে চলে যেতে বলেন। যাওয়ার সময় যেন ভুলেও পিছনে ফিরে না তাকান। তাহলে তিনিও পাথর হয়ে যাবেন।
সন্ন্যাসীর অভিশাপে সব গ্রামবাসীরাই নাকি পাথর হয়ে যায়। তবে তাঁদের মধ্যে শুধুমাত্র একজন মহিলা ওই শিষ্যকে সাহায্য করেছিলেন! সন্ন্যাসীর তাঁর ওপর দয়া হলে তিনি মহিলাকে ওই গ্রাম ছেড়ে চলে যেতে বলেন। যাওয়ার সময় যেন ভুলেও পিছনে ফিরে না তাকান। তাহলে তিনিও পাথর হয়ে যাবেন।
advertisement
6/6
কিন্তু কাহিনি অনুযায়ী ওই মহিলা গ্রাম ছেড়ে যাওয়ার সময় কৌতূহলবশত পিছন ফিরে দেখেছিলেন। আর তার পরেই সন্ন্যাসীর অভিশাপে ওই মহিলাও পাথর হয়ে যান। সেই থেকে বারমের বাসিন্দাদের বিশ্বাস, সন্ধার পর কিরাডু মন্দিরে প্রবেশ করলেই মানুষ পাথর হয়ে যায়!
কিন্তু কাহিনি অনুযায়ী ওই মহিলা গ্রাম ছেড়ে যাওয়ার সময় কৌতূহলবশত পিছন ফিরে দেখেছিলেন। আর তার পরেই সন্ন্যাসীর অভিশাপে ওই মহিলাও পাথর হয়ে যান। সেই থেকে বারমের বাসিন্দাদের বিশ্বাস, সন্ধার পর কিরাডু মন্দিরে প্রবেশ করলেই মানুষ পাথর হয়ে যায়!
advertisement
advertisement
advertisement