ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে, পাকিস্তানি আর্মির পোশাক পরিহিত লোকের প্রহরাতেই এই শেষকৃত্য হচ্ছে৷ বিশেষজ্ঞেরা বলছেন, এর মাধ্যমেই বোঝা যাচ্ছে পাকিস্তানি জঙ্গিদের কী ভাবে সাপোর্ট করে সে দেশের প্রশাসন৷
২০১০ সালে রৌফকে গ্লোবাল টেররিস্ট হিসাবে ঘোষণা করে আমেরিকা৷ পাকিস্তানে খুল্লমখুল্লা ঘুরে বেড়ায় এই রৌফ, লস্করের প্রথমসারির নেতা৷ লস্করের হয়ে মূখ্য জনসংযোগকারীর ভূমিকায় দেখা যায় এই রৌফকে৷ ২০০৮ সালে লস্কর প্রধান হাফিজ মহম্মদ সঈদের নির্দেশে পাকিস্তানের বাজাউর থেকে বিদেশে যেতে দেখা গিয়েছিল একে৷
advertisement
বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, রৌফকে ২০০৩ সালে লস্কর-ই-তৈবার পাবলিক সার্ভিসের পরিচালক হিসেবে মনোনীত করা হয়েছিল, পাশাপাশি সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর একজন মুখপাত্র হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছিলেন তিনি। লস্কর-ই-তৈবার এজেন্ডাকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য তিনি ফালাহ-ই ইনসানিয়াত ফাউন্ডেশন (এফআইএফ)-এর ব্যানারে প্রচারণামূলক প্রচারকে রূপ দেওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন এই রৌফ।
আরও পড়ুন: অপারেশন সিঁদুর কে কন্ট্রোল করল জানেন? মোদির বড় ভরসা, ‘এঁর’ হাত ধরেই পাকিস্তানে চলল হামলা
ভারতের মাটিতে সন্ত্রাসবাদ উস্কে দেওয়ার জন্য পাকিস্তান যে জঙ্গিদের সাপোর্ট করে এই ভিডিওগুলি তারই প্রমাণ৷ ক’দিন আগে পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খ্বজা আসিফের একটি স্বীকারোক্তিতেই যে কথা সামনে এসেছিল৷ তিনি সম্প্রতি স্বীকার করেছিলেন, যে পাকিস্তান দীর্ঘদিন ধরে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলিকে সাপোর্ট করে আসছে৷ অর্থ যোগাচ্ছে তো বটেই৷ করে আসছে, এটিকে বিদেশী শক্তির জন্য করা তাদের “নোংরা কাজ” হিসাবে বর্ণনা করেছেন তিনি।