গবেষণায় জানানো হয়েছে, জীবাশ্মটি একটি নতুন ডাইনোসরের প্রজাতি, যাকে গবেষকরা 'Paralitherizinosaurus japonicus' বা প্যারালিথারাইজিনোসরাস জেপোনিসাস নাম বলেছেন। সমীক্ষা অনুসারে, ডাইনোসরটি থেরিজিনোসর নামে পরিচিত একটি গোষ্ঠীর অন্তর্গত ছিল, দ্বিপদ এবং প্রাথমিকভাবে তিন আঙুল বিশিষ্ট তৃণভোজী ডাইনোসর। এদের নথ ধারালো ছুরির মতো। এই দিয়েই এরা গাছপালা কাটা ও পশু শিকার করত।
আরও পড়ুন: উষ্ণ ফটোশ্যুটে মোহময়ী সাজে শেহনাজ, ছবিতে কুপোকাত ভক্তরা!
advertisement
আরও পড়ুন: সকালে কোন সময়ে জলখাবার খান? ওজন কমাতে হলে সঠিক সময় জানুন
লাইভ সায়েন্সের গবেষক রয় এম হাফিংটন বলেছেন, 'এই ধারালো নখকে প্যারালিথারাইজিনোসরাস জেপোনিসাস খাদ্য অনুসন্ধানের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করত, আগ্রাসনের মাধ্যম হিসেবে নয়, ঝোপঝাড় ও গাছকে খাবারের জন্য তার মুখে তুলে নিত'। মূলত ২০০৮ সালে জাপানের হোক্কাইডোতে এই জীবাশ্ম আবিষ্কৃত হয়েছিল, গবেষকদের আরেকটি দল খুঁজে পেয়েছিল সেটি। আবিষ্কারের সময়, জীবাশ্মটি একটি কংক্রিটে মোড়ানো ছিল, শক্ত হয়ে যাওয়া খনিজের মতো। আগে বিশ্বাস করা হয়েছিল যে এটি টেরিজিনোসরাসের অন্তর্গত।
কিন্তু তার প্রমাণ না মেলায় ফের গবেষণা শুরু হয়। বিজ্ঞানীরা আবার জীবাশ্মটি দেখার সিদ্ধান্ত নেন। তাদের বিশ্লেষণের উপর ভিত্তি করে, নতুন গবেষণার লেখকরা উপসংহারে পৌঁছেছেন যে জীবাশ্মটি একটি টেরিজিনোসরাসের অন্তর্গত। শুধুমাত্র নমুনার উপর ভিত্তি করে, টেরিজিনোসর কত বড় ছিল তা নিশ্চিতভাবে জানা অসম্ভব। গবেষকরা জানিয়েছেন যে, ডাইনোসরটি বড় ছিল, প্রায় ৩০ ফুট পর্যন্ত বাড়তে পারত এবং ৩ টন পর্যন্ত ওজন হত সেগুলির।