নেপালের প্রধানমন্ত্রী পুষ্পকমল দাহল ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলি পরিদর্শন করেছেন। বলা হচ্ছে, নেপালে ভূমিকম্পে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে জাজারকোট ও রুকুম জেলায়। জাতীয় ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের মতে ৬.৪ মাত্রার ভূমিকম্পের পরে বেশ কয়েকটি আফটারশক হয়েছে। প্রত্যেকটি আফটারশকেই তীব্র কম্পণ অনুভব করা গেছিল। ৪.৫ মাত্রার বেশ কয়েকটি অফটারশকে কেঁপেছে নেপালের একাধিক রাজ্য। বিষয়টি এমন জায়গায় যায় যে ভয়ে রাতে অনেকে বাড়ির মধ্যেই যায়নি।
advertisement
আরও পড়ুন, তৃণমূলের সঙ্গে জোট নিয়ে নিচুতলায় বিভ্রান্তি, ইয়েচুরির সামনেই সরব জেলার নেতারা
আরও পড়ুন, বড় খবর! ৯৪ জন শিক্ষকের চাকরি বাতিল, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের বিশাল ঘোষণা
জানা গিয়েছে, নেপালের বিভিন্ন জেলা হাসপাতালে আহতদের চিকিৎসা চলছে। নেপালের প্রধানমন্ত্রী নিরাপত্তা সংস্থাগুলোকে অবিলম্বে উদ্ধার ও ত্রাণ কাজ চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, সড়ক অবরুদ্ধ ও ক্ষতিগ্রস্ত সেতুর কারণে উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রম ব্যাহত হয়েছে। ভূমিকম্পের তীব্রতা এতো ছিল যে দিল্লি, কলকাতা-সহ ভারতের একাধিক এলাকায় কম্পণ অনুভূত হয়। নয়ডার প্রচুর বাসিন্দা তো ভয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়েও পড়েন। অনেকেই বিভিন্ন ভিডিও শেয়ার করেন।
প্রসঙ্গত, নেপাল ভূ-কম্পণ প্রবলিত এলাকায়। মাঝে মধ্যেই ভূমিকম্পের খবর আসে এই পার্বত্য দেশটি থেকে। ২০১৫ সালে নেপালে ৭.৮ মাত্রার ভূমিকম্প হয়। এর পরে একের পর এক আফটারশকের কারণে প্রায় ৯ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছিল নেপালে।