নিহতের কাকা জানিয়েছেন, প্রেমসাগর গত পাঁচ বছর ধরে দুবাইয়ের একটি বেকারিতে কাজ করছিলেন৷ টাকা পয়সার অভাবে প্রত্যেক বছর বাড়িও ফিরতে পারতেন না৷ শেষবার এসেছিলেন বছর ২ আগে৷ প্রেমসাগরের স্ত্রী ও দুই সন্তান রয়েছে৷ শোকে মূহ্যমান প্রেমসাগরের পরিবার ভারত সরকারের কাছে তাঁদের ছেলের দেহ ফিরিয়ে নিয়ে আসার আর্জি জানিয়েছে৷
advertisement
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জি কিসন রেড্ডি জানিয়েছেন, দ্বিতীয় নিহত ব্যক্তির নাম শ্রীনিবাস৷ তিনি নিজামাবাদ জেলার বাসিন্দা। তৃতীয় ব্যক্তির নাম সাগর৷ পাক নাগরিকের হামলায় তিনি গুরুতর আহত৷ তাঁকে একটি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে বলে জানিয়ছেন তাঁর স্ত্রী।
হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে দুঃখ প্রকাশ করে মন্ত্রী কিসন রেড্ডি জানান, তিনি বিদেশ মন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলেছেন এবং তিনি নিহতদের মৃতদেহ ভারতে ফিরিয়ে আনার জন্য সম্পূর্ণ সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন।
সোশ্যাল মিডিয়ায় মন্ত্রী লিখেছেন, “দুবাইয়ে তেলঙ্গানার দুই তেলেগু যুবক, নির্মল জেলার আস্থাপু প্রেমসাগর এবং নিজামাবাদ জেলার শ্রীনিবাসের নির্মম হত্যাকাণ্ডে গভীরভাবে শোকাহত। বিষয়টি নিয়ে মাননীয় বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সাথে কথা বলেছি এবং তিনি দেহ ফিরিয়ে নিয়ে আসার জন্য শোকাহত পরিবারগুলিকে সম্পূর্ণ সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন৷” বিষয়টি নিয়ে দ্রুত ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে বিদেশ মন্ত্রণালয় (MEA) কাজ করবে বলেও আশ্বাস দিয়েছেন জয়শঙ্কর।
আরও পড়ুন: আবারও ভূমিকম্প! এবারেও কেঁপে উঠল দিল্লি-এনসিআর, পড়শি দেশেই কেন্দ্র ভূকম্পের, মাত্রা ৫.৬
জানা গিয়েছে, বেকারিতে কাজ করার সময় ভারতীয় এবং পাক নাগরিকের মধ্যে কোনও ধর্মীয় কারণে বাদানুবাদ শুরু হওয়ায় তা হাতাহাতিতে পৌঁছয়৷ শেষে তিন ভারতীয়ের উপরে তলোয়ার নিয়ে চড়াও হয় ওই নাগরিক৷