এক মিনিটের সামান্য বেশি সেই ভিডিওতে ধরা পড়ে বিমান দুর্ঘটবনার মুহূর্ত৷ বিমানের জানালা দিয়ে বিমানের ডানা, তার নীচে খেলনার মতো ঘরবাড়ি, সরু ফিতের মতো নদী, মাঠ ক্রমশ আরও ছোট হয়ে আসছিল৷ আচমকাই পাল্টে যায় দৃশ্যপট৷ আগুনে ঢেকে যায় স্ক্রিন৷ শোনা যায় যাত্রীদের কান্না ও আর্ত চিৎকার৷ যাচাই না করা হলেও এই ভিডিওটি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে হু হু করে৷
advertisement
জানা গিয়েছে যিনি এই ফেসবুক লাইভ করছিলেন তাঁর নাম সোনু জয়সওয়াল৷ উত্তরপ্রদেশের গাজিপুরের বাসিন্দা সোনু প্রাণ হারিয়েছেন দুর্ঘটনায়৷ নেপালের প্রাক্তন সাংসদ এবং নেপালি কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য অভিষেক প্রতাপ শাহ জানিয়েছেন এক বন্ধুর কাছ থেকে তিনিও ভিডিওটি পেয়েছেন৷
আরও পড়ুন : ১ বস্তা আটা ৩০০০ পাক রুপি! খাদ্যসঙ্কটে বিপর্যস্ত পাকিস্তানে গমের বস্তা ভর্তি ট্রাকের পিছনে বাইকবাহিনীর দৌড়
সামাজিক মাধ্যমে ভিডিওটি দেখে নেটিজেনরা বাকরুদ্ধ৷ সকলেই স্বীকার করেছেন এরকম ভয়ঙ্কর ভিডিও তাঁরা এর আগে দেখেননি৷ শান্ত, হাসিমুখে থাকা যুবক জানতেনও না পরের মুহূর্তেই কী অপেক্ষা করে আছে ওই বিমানের যাত্রীদের জন্য৷
বিমানের রক্ষণাবেক্ষণের অভাব, এয়ারক্র্যাফ্ট সিস্টেমের গাফিলতি, বিমানচালকের ক্লান্তি-সহ একাধিক সম্ভাব্য কারণ উঠে আসছে বিমান দুর্ঘটনার পিছনে৷ গত ৩০ বছরে এই বিমান দুর্ঘটনা ভয়াবহতম৷ ১৯৯২ সালে পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনালের এয়ারলাইন্স এয়ারবাস এ৩০০ কাঠমাণ্ডুতে অবতরণের কিছু আগেই দুর্ঘটনার মুখে পড়ে৷ পাহাড়ে ধাক্কা খেয়ে টুকরো টুকরো হয়ে যায় বিমানটি৷ প্রাণ হারান ১৬৭ জন যাত্রী৷