দুই দেশ মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ৯০ বলে জানা গিয়েছে৷ যদিও সেই সংখ্যা আরও অনেকটাই বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে৷ কারণ যে সময় ভূমিকম্প হয়, তখন অধিকাংশ মানুষই গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন ছিলেন৷
ভূমিকম্পে তুরস্কের একাধিক শহরের অসংখ্য বহুতল ভেঙে পড়ার ছবি সামনে এসেছে৷ কিছু বুঝে ওঠার আগেই ধ্বংসস্তূপের নীচে চাপা পড়েন বহু মানুষ৷ ফলে হতাহতের সংখ্যা অনেকটাই বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে৷
advertisement
আরও পড়ুন: জোরালো ভূমিকম্পে পর পর দু' বার কেঁপে উঠল তুরস্ক, বিপুল ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা
রিখটার স্কেলে এ দিন তুরস্কের প্রথম কম্পনের মাত্রা ছিল ৭.৮৷ কম্পনের তীব্রতা এতটাই ছিল যে সুদূর সাইপ্রাস দ্বীপেও তা অনুভূত হয়৷ পাশাপাশি, লেবানন, ইরাক, ইজরায়েলের একাংশও কেঁপে ওঠে বলে খবর৷
শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, শুধুমাত্র তুরস্কেই মৃতের সংখ্যা পঞ্চাশ ছাড়িয়েছে৷ সিরিয়ায় মৃতের সংখ্যা ইতিমধ্যেই ৪২ ছুঁয়েছে৷ সিরিয়া সরকারের নিয়ন্ত্রণে থাকা দেশের উত্তর অংশ ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে৷ সেখানেও একাধিক বহুতল এবং বাড়িঘর ভূমিকম্পের জেরে ভেঙে পড়েছে৷
স্থানীয় সময় ভোর ৪.১৭ মিনিটে কেঁপে ওঠে দক্ষিণ তুরস্কের বিস্তীর্ণ অংশ৷ শহরাঞ্চল হওয়ায় একাধিক বহুতল ভেঙে গুড়িয়ে যায়৷ প্রথম কম্পনের ১৫ মিনিটের মাথায় দ্বিতীয়বার কম্পন অনুভূত হয়৷ দ্বিতীয় বার কম্পনের তীব্রতা ছিল ৬.৭৷
ভূমিকম্পে সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তুরস্কের শহর কাহরামানমারাস৷ এর পাশাপাশি আদিয়ামান, মালাটিয়া, দিয়ারবাকির শহরগুলিতেও ক্ষয়ক্ষতির ছবি সামনে এসেছে৷
পৃথিবীর ভূমিকম্প প্রবণ অঞ্চলগুলির মধ্যে অন্যতম তুরস্ক৷ গত একশো বছরে এই অঞ্চলে এটিই অন্যতম ভয়াবহ ভূমিকম্প বলে দাবি করা হচ্ছে৷ ১৯৯৯ সালে এই তুরস্কেই ভয়াবহ ভূমিকম্পে প্রায় ১৭ হাজার মানুষ প্রাণ হারান৷ তার মধ্যে ইস্তানবুলেই ১০০০ মানুষের মৃত্যু হয়৷ ২০২০ সালেও তুরস্কে দু'টি বড় ভূমিকম্পে শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়৷