আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞ ও গবেষক, সৌরীশ ঘোষের মতে এখনই রাশিয়ার পুরোপুরি বিরোধিতা করা ভারতের পক্ষে সম্ভব নয়। ভারতের দীর্ঘ দিনের বন্ধু দেশ রাশিয়া। ভারতের খারাপ সময়েও ওই দেশ ভারতের পাশে থেকেছে। এখন এই পরিস্থিতিতে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ভারতের দাঁড়িয়ে পড়াটা কার্যত অসম্ভব। বরং ভারত এই গোটা পরিস্থিতি নিয়েই আপাতত চুপ থাকবে। নজর রাখবে পরিস্থিতির উপর। সরাসরি রাশিয়ার বিরোধিতা ভারত করতে পারবে না, বরং মাঝামাঝি অবস্থান থেকে শান্তির কথা ভারত বলতে পারে।
advertisement
আরও পড়ুন : ইউক্রেনে আটকে পড়া ভারতীয় পড়ুয়াদের জন্য চালু হল হেল্পলাইন, জানাল বিদেশমন্ত্রক
ভারতের পক্ষ থেকে আগেই শান্তির বার্তা দেওয়া হয়েছে। তবে সৌরিশের মতে, রাশিয়াকে চটিয়ে চিনের বৃত্তকে আরও শক্তিশালী করতে চাইবে না ভারত। ইতিমধ্যে প্রতিবেশী পাকিস্তানের সঙ্গে চিনের এক মধুর সম্পর্ক তৈরি হয়েছে। চিনও ঠারেঠোরে বুঝিয়ে দিয়েছে রাশিয়াকে সঙ্গে নিয়েই চলতে চায় তাঁরা। সেক্ষেত্রে ভারত রাশিয়ার বিরোধিতা করলে রাশিয়া, চিন ও পাকিস্তান এক বৃত্তে চলে আসতে পারে বলেই মত সৌরীশের। এত সহজ সমীকরণে শত্রুর সংখ্যা আর বাড়িয়ে তুলতে চাইবে না ভারত।
আরও পড়ুন : মোদির কথা শুনে যুদ্ধ বন্ধ করতে পারে রাশিয়া, ভারতকে অনুরোধ ইউক্রেনের
অন্য দিকে ভারতের কাছে যুদ্ধ বন্ধ করার আর্জি জানাল রাশিয়ার হামলার মুখে পড়া ইউক্রেন। ইউক্রেনের তরফ থেকে বলা হয়েছে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শক্তিশালী বার্তা থামাতে পারে রাশিয়াকে। রাশিয়া মোদির কথা শুনে বন্ধ করতে পারে যুদ্ধ। সেই কারণে আপাতত যুদ্ধ বন্ধ করার দাবি রাশিয়াকে জানান মোদি। তেমনই অনুরোধ এসেছে ভারতের কাছে। যদিও ভারতের তরফ থেকে বলা হয়েছে, পুরো পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছে দেশ। ইউক্রেনকে আলাদা করে কোনও জবাব ভারতের তরফ থেকে দেওয়া হয়নি।
সৌরীশ বলছেন, ইউক্রেনের এই পরিস্থিতি বেশিদিন হয়ত চলবে না। দিন কয়েকের মধ্যেই অস্ত্রবিরতি ঘোষিত হবে। ন্যাটোও সরাসরি রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করবে না। মোটামুটি আধিপত্য প্রতিষ্ঠা হওয়ার পরেই এই যুদ্ধ থামবে। তারপর রাজনৈতিক পরিস্থিতি কী দাঁড়ায় সেটা দেখতে হবে। তবে ভারতের ভূমিকা এর পর ঠিক কী হবে, এত দ্রুত তা আন্দাজ করা মুশকিল।