অনেকেই ব্রাজিলের আমাজনের একটি নির্দিষ্ট উপজাতির শেষ সদস্যের মৃত্যুতে আক্ষেপ করেছেন। এই ক্ষতি আদিবাসীদের সামগ্রিক সংস্কৃতির উপর প্রভাব ফেলবে বলে মনে করছেন অনেকে।
আরও পড়ুন- চিনের আকাশে অদ্ভুত টুপি রামধনু! অসম্ভব সুন্দর হলেও, ধরাচ্ছে ভয়! ভাইরাল ভিডিও
দ্য গার্ডিয়ানের মতে, আদিবাসী মানুষটি আন্দিও দো বুরাকো বা "ম্যান অফ দ্য হোল" নামে পরিচিত ছিলেন। বহির্বিশ্বের সঙ্গে তাঁর কোনো যোগাযোগ ছিল না। তিনি ২৬ বছর ধরে জঙ্গলে একাই বসবাস করছিলেন।
advertisement
কেউ তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তাঁকে তীর দিয়ে আক্রমণ করতেন। সারভাইভাল ইন্টারন্যাশনালের সারাহ শেঙ্কার রিপোর্ট-এ বলেছেন, "তিনি ছিলেন তাঁর গোত্রের শেষ সদস্য। তাই পৃথিবী থেকে আরেকটি উপজাতি বিলুপ্ত হয়ে গেল।"
এই জনজাতির সদস্যকে নিয়ে ব্রাজিলের স্থানীয় মিডিয়াতে প্রচুর কভারেজ হয়েছে একটা সময়। স্থানীয় প্রশাসন তাঁর খেয়াল রাখা শুরু করেছিল।এমনকী বেশ কয়েকটি ডকুমেন্টারিতেও তাঁকে দেখানো হয়েছিল।
ব্রাজিলের স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের মতে, তাঁর আসল নাম কেউ জানত না। লোকজন তাঁকে ম্যান অব দ্য হোল বলে জানত। কারণ তিনি মাটিতে গভীর গর্ত খুঁড়ে থাকতেন। এই গর্তগুলির মধ্যে কয়েকটি তিনি পশু শিকারের জন্য ব্যবহার করত। আবার কয়েকটিতে তিনি নিজেরাই লুকিয়ে থাকতেন। ২৩ অগাস্ট ওই ব্যক্তির কুঁড়েঘরের বাইরে একটি দোলনায় তাঁর মৃতদেহ পাওয়া যায়। তাঁর মৃত্যু স্বাভাবিক হয়েছে বলেই মনে করছে স্থানীয় প্রশাসন।
ব্রাজিলের স্থানীয় জনজাতি সম্প্রদায়ের এই ব্যক্তির পরিবারের বাকি ৬ সদস্য ১৯৯৫ সালে মারা গিয়েছিলেন। এই দলটি বলিভিয়ার সীমান্তবর্তী রন্ডনিয়া রাজ্যের তানারু আদিবাসী অঞ্চলে বাস করত একটা সময়। ১৯৭০-এর গোড়ার দিকে তাঁর গোত্রের অধিকাংশই কৃষকদের হাতে নিহত হয়েছিলেন। জঙ্গলের জমি দখলের জন্য তাঁদের খুন হতে হয়েছিল।
আরও পড়ুন- শ্রীলঙ্কার ছায়া পাকিস্তানে! রক্ষাকর্তা হিসেবে উঠে আসছে সেই ভারতেরই নাম
বর্তমানে ব্রাজিলে ৩০০ টিরও কম আদিবাসী উপজাতি রয়েছে বলে মনে করা হয়। এই সংখ্যা ধীরে ধীরে কমছে। এখন আরও ৩০টি জনজাতির দল রয়েছে। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের কাছে তাঁদের সম্পর্কে কোনো তথ্য নেই।