ভারত-মার্কিন সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যেতে বদ্ধপরিকর দুই দেশ। ওবামা জমানায় যেখানে শেষ হয়েছিল, ট্রাম্প জমানায় সেখান থেকেই শুরু করছে দুই দেশ। ওবামার পথ ধরেই ভারত-মার্কিন সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে যেতে চান প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। প্রথমে জর্জ বুশ ও পরে বারাক ওবামা - এই দুই মার্কিন প্রেসিডেন্টের জমানায় অন্য উচ্চতায় পৌঁছেছে ভারত-মার্কিন সম্পর্ক। দ্বি-পাক্ষিক সহযোগিতার পথে হেঁটে, কূটনৈতিক ও আর্থিক নীতি শিথিল করে সেই কাজ আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হতে পারে। ট্রাম্পের টুইটেই সেই বার্তা।
advertisement
প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে দেখা করতে মুখিয়ে আছি। আমেরিকার বন্ধু ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সামরিক সহ সব বিষয়ে আলোচনা হবে।
- ডোনাল্ড ট্রাম্প, প্রেসিডেন্ট, আমেরিকা
মার্কিন নীতিতে অগ্রাধিকারের তালিকায় রয়েছে ভারত। ওবামা জমানায় দুই দেশই এব্যাপারে একাধিক পদক্ষেপ নেয়। প্রতিরক্ষা, মেধাস্বত্ত্ব, আমদানি-রফতানি, কর ব্যবস্থায় একাধিক নিয়ম শিথিল হয়। মার্কিন বাজারে মসলা বন্ডেও ছাড়পত্র দেয় ইউএস ফেডেরাল রিজার্ভ। দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বাড়াতে দিল্লিতে যৌথ সম্মেলনের আয়োজন করেছিল দু-দেশের বণিকসভা। এখানে বক্তা হিসাবে ছিলেন ভারতে মার্কিন দূতাবাসের বিজনেস অফিসার মেরিলিক কার্লসেন।
দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ বাড়াতে বেশ কিছু উদ্যোগ নেওয়ারও ঘোষণা করে ভারত-আমেরিকা। স্বাস্থ্য ও শিক্ষাক্ষেত্রেও পরম্পরের দিকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছে দুই দেশ। যক্ষা, কালাজ্বর, ম্যালেরিয়ার চিকিৎসায় ভারতকে সাহায্য করছে ইউএস এইড।
বহু বকেয়া ইস্যু রয়েছে। আপাতত এই কয়েকটি নিয়েই স্থায়ী সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে দুই দেশ। মোদির সঙ্গে ৫ ঘণ্টারও বেশি কাটানোর কথা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের। থাকছে ব্যাঙ্কোয়েট ডিনার। এই সময়ে সেই সব বিষয় নিয়েও আলোচনা হওয়ার কথা, সেগুলির কারণে সাম্প্রতিক কালে দু-দেশের সম্পর্কে কিছুটা হলেও তিক্ততা তৈরি হয়েছে।
সব জটিলতা কাটিয়েই এগিয়ে যাবে ভারত-মার্কিন সম্পর্ক। এই আশা নিয়েই মোদি-ট্রাম্প বৈঠকের দিকে তাকিয়ে কূটনৈতিক ও ব্যবসায়ী মহল। এই সুর শোনা গিয়েছে ভারতীয় বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্রের কথাতেও। গোপাল বাগলার দাবি, উইন-উইন সিচুয়েশনেই নতুন পথে এগিয়ে যাবে ভারত ও আমেরিকা।
I assure you, the dreams that you have for India will be fulfilled. pic.twitter.com/OtY16q5mKi
advertisement— Narendra Modi (@narendramodi) June 25, 2017