TRENDING:

Myanmar jail torture: দু' পা কেটে নিয়ে ঢালা হল গরম জল! মায়ানমারের জেলে চলছে নৃশংস অত্যাচার, ফাঁস করলেন সাংবাদিক

Last Updated:

জেল থেকে বেরিয়েই দেশ ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন মং৷ প্রথমেই নিজের ফোন এবং ল্যাপটপ থেকে সমস্ত ই মেল, ছবি মুছে ফেলেন তিনি৷

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
বার্মা: মিলিটারি শাসনে থাকা মায়ানমারে এখন কী চলছে, সে সম্পর্কে অবহিত নয় বহির্বিশ্ব৷ কিন্তু জুন্টা সরকারের শাসনে মায়ানমারবাসীর কি নিদারুণ নির্যাতন এবং দুর্দশায় দিন কাটছে, তা সম্প্রতি প্রকাশ্যে এনেছেন মং মং নামে মায়ানমারের এক প্রাক্তন সাংবাদিক৷ প্রাণ বাঁচাতে যিনি দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন৷
মায়ানমারে চলছে সেনা শাসন৷ ছবি-এপি
মায়ানমারে চলছে সেনা শাসন৷ ছবি-এপি
advertisement

আং সাং স্যু কি-র হাত থেকে ক্ষমতা ছিনিয়ে নেওয়ার পর জুন্টা সরকার মায়ানমার জুড়ে কী ধরনের অত্যাচার চালাচ্ছে, তার একটা ছবি তুলে ধরেছেন ওই সাংবাদিক৷ এমন কি, জুন্টা সরকারের নির্যাতন থেকে রক্ষা পাননি ওই সাংবাদিকের নিজের ভাইও৷

আরও পড়ুন: নেওয়া যাবে একটিই হ্যান্ডব্যাগ, কত ওজনের? ভারতে বিমানযাত্রায় চালু নতুন নিয়ম

advertisement

মায়ানমারের বৃহত্তম শহর ইয়াঙ্গনের বাসিন্দা ছিলেন মং মং৷ ২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি জুন্টা সরকার ক্ষমতায় আসার পর মায়ানমারের পরিস্থিতি রাতারাতি কীভাবে বদলে গিয়েছে, দ্য ইন্ডিপিডেন্টে প্রকাশিত নিজের প্রতিবেদনে তারই ব্যাখ্যা দিয়েছেন মং মং৷

ওই সাংবাদিক লিখেছেন, ‘২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারির পর আমাদের জীবন এক ধাক্কায় বদলে গেল৷ জুন্টা সরকারের জোর করে ক্ষমতা দখলের বিরোধিতা করে দেশ জুড়ে বিক্ষোভ শুরু হয়৷ কিন্তু গায়ের জোরে সেই প্রতিবাদ থামান হয়৷ শুরু হয় সেনাবাহিনীর নির্মম নির্যাতন৷ হাজার হাজার বিক্ষোভকারীকে হয় প্রাণে মেরে ফেলা হয়, নাহলে জেল বন্দি করা হয়৷ দেশ জুড়ে জারি হয় কারফিউ৷ কাউকে দেখে সন্দেহভাজন মনে হলেই তাঁর বাড়ি ঘর তছনছ করে সেনা৷ বহির্বিশ্বের সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যম হওয়ায় সমাজমাধ্যমের ব্যবহার বন্ধ করা হয়৷ জিজ্ঞাসাবাদের নামে অত্যাচার করে বহু মানুষকে হত্যা করা হয়েছে৷ আতঙ্কে প্রাণে বাঁচতে অনেকে লাগোয়া থাইল্যান্ডে গিয়ে আশ্রয় নেয়৷ ‘

advertisement

ওই সাংবাদিক আরও লিখেছেন, ‘আমার এক বন্ধুকে তিন মাস জেলবন্দি করে রাখা হয়৷ যে সমস্ত বিদেশি সাংবাদিকদের মোবাইলে আন সাং স্যু কি-র ছবি ছিল, তাঁদের ৭ বছরের কারাবাসের শাস্তি দেওয়া হয়৷ মাসের পর মাস তাঁদের জেলের অন্ধকারে নির্যাতন করা হয়৷ এখনও অনেকে জেলে রয়েছেন৷ একটি ফেসবুক পোস্টে লাইক করায় আমার তিন ভাইয়ের মধ্যে একজনকে গ্রেফতার করা হয়৷ জেলে তাঁর পা দুটো কেটে ফেলা হয়৷ এর পর ক্ষতের উপরে ঢালা হয় গরম জল৷ অসহ্য যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে আমার ভাই সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়ে৷ পরের দিন সকালে জ্ঞান ফেরার পর ওকে নিয়ে গিয়ে ফের কড়া রোদের মধ্যে বেঁধে রাখা হয়৷ ফের ও ও অচৈতন্য হয়ে পড়ে৷ দ্বিতীয় বার জ্ঞান ফেরার পর ও দেখে ওকে অন্য একটি জেলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে৷ ‘

advertisement

মং জানিয়েছেন, নিজের স্ত্রীর চিকিৎসার জন্য মেডিক্যাল অফিসারকে মোটা টাকা ঘুষ দেওয়া হয়৷ আট মাস জেলবন্দি থাকার পর প্রমাণের অভাবে ছাড়া পেয়ে যান মং৷

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
পুরীর রথ এবার রঘুনাথপুরে, থিমে মন কাড়ছে আপার বেনিয়াসোলের দুর্গাপুজো মণ্ডপ
আরও দেখুন

জেল থেকে বেরিয়েই দেশ ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন মং৷ প্রথমেই নিজের ফোন এবং ল্যাপটপ থেকে সমস্ত ই মেল, ছবি মুছে ফেলেন তিনি৷ এর পর চাষিদের থেকে চাল কিনে বস্তায় ভরে মাঝরাতে ট্রাকে চড়ে দেশ ছাড়েন মং৷ মিলিটারি চেক পয়েন্টগুলিতে নগদ এবং মদের বোতল ঘুষ হিসেবে দিয়ে নিস্তার পায় ওই সাংবাদিক এবং তাঁর পরিবার৷

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/বিদেশ/
Myanmar jail torture: দু' পা কেটে নিয়ে ঢালা হল গরম জল! মায়ানমারের জেলে চলছে নৃশংস অত্যাচার, ফাঁস করলেন সাংবাদিক
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল