এই ড্রোন ফুটেজ প্রকাশ করেছে ইজরায়েলি সেনা। তাদের দাবি এটা ইয়াহিয়ার মৃত্যুর ঠিক আগের মুহূর্তের ভিডিও। ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, মাথা সামনের দিকে ঝুঁকে গিয়েছে। কোনওরকমে শরীরকে বসিয়ে রেখেছেন ইয়াহিয়া। বাঁ হাতে ধরা একটা লাঠি। ড্রোন কাছে যেতেই সেই লাঠিটা ছুড়ে মারলেন তিনি।
advertisement
ইজরায়েলের বিদেশমন্ত্রী ইজরায়েল কার্টজ বলেছেন, “আমরা ডিএনএ পরীক্ষা করেছি। ইনি হামাস প্রধান ইয়াহিয়া সিনওয়ার। ৭ অক্টোবরের গণহত্যার মাস্টারমাইন্ড।“একই কথা বলেছেন ইজরায়েল সেনার মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারিও। তাঁর কথায়, “বোমাবর্ষণে ধুলিস্যাৎ হয়ে যায় সামরিক ভবন। তখনই মৃত্যু হয় ইয়াহিয়া সিনওয়ারের।“ সিনওয়ার বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট পরেছিলেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।
হাগারি দাবি করেছেন, গুলিতে জখম হওয়ার পর একটি দোতলা বাড়িতে লুকিয়ে পড়েন ইয়াহিয়া। এরপর ড্রোন নামিয়ে এলাকা স্ক্যান করা হয়। তাঁর কথায়, “সেই ফুটেজই আমরা প্রকাশ করেছি।“ ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, ডান হাতে গুলি লেগেছে ইয়াহিয়ার। সোফায় মুখ ঢেকে বসে রয়েছেন তিনি। তবে হামাস এখনও পর্যন্ত ইয়াহিয়ার মৃত্যু নিয়ে কোনও মন্তব্য করেনি।
ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, ইয়াহিয়ার মৃত্যুর মধ্যে দিয়ে প্যালেস্তেনীয় ভূখণ্ডে বছরের পর বছর ধরে চলা যুদ্ধ শেষের সূচনা হল। ইজরায়েলের সেনার ইয়াহিয়ার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে। প্রকাশিত একটি বিবৃতিতে তারা জানিয়েছে, দক্ষিণ গাজা উপত্যকায় সামরিক অভিযানে জঙ্গি সংগঠন হামাসের ইয়াহিয়া সিনওয়ারকে নিকেশ করা হয়েছে।
গত বছরের ৭ অক্টোবর ইজরায়েলে হামলা চালানোর পর থেকেই হামাসকে মাটিতে মিশিয়ে দেওয়ার শপথ নিয়েছিলেন ইজরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। ইয়াহিয়া সিনওয়ারের মৃত্যুতে সেনাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন তিনি। বলেছেন, ‘হামাসের পতনের যুগান্তকারী মুহূর্ত।“ সঙ্গে তিনি এও জানিয়ে দিয়েছেন, “এখনই গাজায় যুদ্ধ শেষ হচ্ছে না। তবে শেষের শুরু হল।“
প্রসঙ্গত, গত বছরের ৭ অক্টোবর দক্ষিন ইজরায়েলের একটি মিউজিক কনসার্টে হামলা চালায় হামাস। এলোপাথাড়ি গুলিতে মৃত্যু হয় প্রায় ১২০০ ইজরায়েলির। ২৫০ জনকে বন্দী করা হয়। এরপরই হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করে ইজরায়েল। এক বছর পর ওই হামলার মাস্টারমাইন্ড ইয়াহিয়া সিনওয়ারকে খতম করল ইজরায়েলি সেনা।
