শনিবার রাতে ইরানের তিন নিউক্লিয়ার ফেসিলিটিতে হামলা চালানোর পাল্টা হিসাবে সোমবার কাতারে থাকা মার্কিনি সেনা ঘাঁটিতে ইরান ৬টি ব্যালিস্টিক মিসাইল দিয়ে হামলা করে৷ কাতারের রাজধানী দোহার আকাশে একাধিক বিস্ফোরণের দৃশ্য ও শব্দ শুনতে পাওয়ার যায় এদিন৷ ইরান জানিয়েছে, আমেরিকা তাদের উপরে ঠিক যতগুলো ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালিয়েছিল, তারাও ঠিক ততগুলোই তাদের ফিরিয়ে দিয়েছে৷
advertisement
আরও পড়ুন :ভাল চোখে দেখছে না চিন…! ‘বন্ধু’ ইরানে কেন ঢুকল আমেরিকা, ফুঁসে উঠল বেজিং..বলল
হোয়াইট হাউসের একজন কর্মকর্তা আল আরাবিয়া ইংলিশকে জানিয়েছেন , হোয়াইট হাউস এবং প্রতিরক্ষা বিভাগ এই হামলা সম্পর্কে অবগত এবং কাতারের আল-উদেইদ বিমান ঘাঁটির কাছে যে হামলা হয়েছে তা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।
কাতারের আল-উদেইদ বিমান ঘাঁটি কী এবং এটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে কীভাবে সম্পর্কিত?
আল-উদেইদ বিমান ঘাঁটি হল কাতারের রাজধানী দোহার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত একটি প্রধান মার্কিন ও জোট সামরিক ঘাঁটি। এটি মধ্যপ্রাচ্যে বৃহত্তম মার্কিন সামরিক ঘাঁটি হিসেবে কাজ করে এবং এই অঞ্চল জুড়ে আমেরিকান অভিযানের একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র।
ইরানের মিসাইল হামলার পরে কাতার সরকারের তরফে বিবৃতি জারি করে জানানো হয়েছে, সরকার তপর থাকায় প্রতিটি মিসাইলকেই মাঝ আকাশে ধ্বংস করা গিয়েছে৷ এই হামলাকে কাতারের “সার্বভৌমত্বের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন” বলে অভিহিত করেছে সে দেশের ররকার।
কাতারের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক জানিয়েছে, তাদের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ক্ষেপণাস্ত্রগুলিকে প্রতিহত করেছে, যার ফলে কোনও হতাহত বা আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেনি। তবে সাধারণ মানুষকে নিজেদের বাড়িতেই থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে কাতারের তরফে৷
আরও পড়ুন :হারল সিপিএম! দু’বারের জেতা আসন হাতছাড়া…ভোট ব্যাঙ্কে ধস নামিয়ে ছিনিয়ে নিল কংগ্রেস
কাতার মন্ত্রকের তরফে জারি করা বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, “ঈশ্বরের কৃপায় এবং সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের সতর্কতায়, এই ঘটনায় প্রাণহানি বা আহত হওয়ার মতো ঘটনা এড়ানো গিয়েছে। মন্ত্রক পুনরায় নিশ্চিত করেছে যে কাতার রাষ্ট্রের আকাশসীমা এবং ভূখণ্ড নিরাপদ এবং কাতারি সশস্ত্র বাহিনী সর্বদা যে কোনও হুমকির মোকাবিলায় সম্পূর্ণ প্রস্তুত। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক নাগরিক এবং বাসিন্দাদের সরকারি নির্দেশ এবং সর্বশেষ পরিস্থিতি জানার জন্য সরকারী সূত্র অনুসরণ করার পরামর্শও দিচ্ছে৷”
অন্যদিকে, আমেরিকার ইরানে বিমান হামলার ঠিক পরদিনই সিরিয়ার একটি মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে বলে খবর মিলেছে। এই ঘাঁটি সিরিয়ার পশ্চিমাঞ্চলের হাসাকা প্রদেশে অবস্থিত।