১২.২৪ কিলোমিটার লম্বা এই রেলওয়ে লাইনটি (৫.৪৬ কিলোমিটার ভারতে এবং ৬.৭৮ কিলোমিটার বাংলাদেশে) নিশ্চিন্তপুরের ইন্টারন্যাশনাল ইমিগ্রেশন স্টেশনের মাধ্যমে বাংলাদেশের আখাউরাকে সংযুক্ত করবে, যা ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্যে যাত্রী ও পণ্যসামগ্রী বিনিময়ের জন্য একটি ডুয়েল গজ স্টেশন হয়ে উঠবে বলে দাবি করা হচ্ছে রেলের তরফে।
আরও পড়ুন: আজ ইডি দরবারে হাজিরা দেবেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী? ‘গ্রেফতার হবেন কেজরিওয়াল…’ আশঙ্কায় আপ!
advertisement
অনুষ্ঠান উপলক্ষে ভাষণে প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, “ভারত-বাংলাদেশ সমন্বয়ের সাফল্য উদযাপনের জন্য উভয় দেশ পুনরায় একত্রিত হয়েছে। বাংলাদেশ প্রথমবারের জন্য উত্তর পূর্বাঞ্চলের সঙ্গে রেল সংযোগের মাধ্যমে যুক্ত হল। এই রেল সংযোগটি উত্তর পূর্বাঞ্চলের পর্যটন খণ্ডকে উৎসাহিত করবে এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নকে আরও শক্তিশালী করবে বলেও প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন। প্রধানমন্ত্রীর ‘অ্যাক্ট ইস্ট পলিসি’ ও ‘নেবারহুড ফার্স্ট পলিসি’ দৃষ্টিভঙ্গীর দিকে লক্ষ্য রেখে ভারতীয় রেলওয়ে প্রতিবেশী দেশগুলির সঙ্গে সংযোগ স্থাপনকারী একাধিক নতুন রেলওয়ে লাইন প্রকল্প সম্পাদন করে উল্লেখযোগ্য কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে আখাউরা-আগরতলা আন্তর্জাতিক সংযোগী রেল লাই্ন প্রকল্প নির্মাণ এই ধরনের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প।এই নতুন রেল প্রকল্পটি দুই দেশের মানুষের মধ্যে সম্পর্ককে মজবুত করার পাশাপাশি ব্যবসা ও বাণিজ্য বৃদ্ধি করবে। একবার সম্পূর্ণভাবে চালু হলে, এই নতুন রেল লাইনটি দুই দেশের সীমান্ত অঞ্চলগুলিতে ক্ষুদ্রমাপের শিল্পের বিকাশে সাহায্য করবে এবং বিশেষত ত্রিপুরার পর্যটন শিল্পের উন্নতি সাধন করবে।
আরও পড়ুন: আজ এথিক্স কমিটির সামনে অগ্নিপরীক্ষা…? ‘একটা চুলও স্পর্শ করতে পারবে না’ : মহুয়া
এছাড়াও এই রেল পথটি দ্রুতগতিতে পণ্যসামগ্রীর আমদানি ও রফতানিতে সাহায্য করার পাশাপাশি স্থানীয় উৎপাদনকারীরা নিজেদের উৎপাদিত সামগ্রী দ্রুতগতিতে দেশের বাইরে নিয়ে যাওয়ার সুযোগ লাভ করবেন। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পণ্যসামগ্রী বহনকারী ট্রেনগুলি কম পরিবহণ খরচে বাংলাদেশ হয়ে উত্তর পূর্বাঞ্চলে প্রবেশ করতে পারবে। এছাড়াও, ঢাকা হয়ে আগরতলা ও কলকাতার মধ্যে ভ্রমণ সময় উল্লেখযোগ্যভাবে কমিয়ে দেবে এই রেল যোগাযোগ।
আরও পড়ুন: ‘এই’ লক্ষণগুলি আপনারও আছে…? আপনি ‘হাইপারহাইড্রোসিস’ রোগে আক্রান্ত নন তো? জানুন
এছাড়াও, অভিলাষী আখাউরা-আগরতলা আন্তর্জাতিক রেল যোগাযোগ প্রকল্পের অংশ হিসেবে বিকশিত ত্রিপুরার নিশ্চিন্তপুর রেলওয়ে স্টেশনটি ল্যান্ড কাস্টোম স্টেশন (এলসিএস) হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। আন্তর্জাতিক ভ্রমণকারী এবং পণ্যবাহী কার্গোগুলির সুবিধার্থে একটি যাত্রীবাহী এবং কার্গো টার্মিনাল নির্মাণ করা হয়েছে। স্টেশন ইয়ার্ডটি আধুনিক সুযোগ-সুবিধায় সজ্জিত করা হয়েছে, যা পণ্য সামগ্রী ও যাত্রীদের স্থানান্তরের সুবিধার পাশাপাশি ভারত-বাংলাদেশ ব্যবসায়িক উদ্দেশ্য পূরণ করবে। এছাড়া স্টেশন ইয়ার্ডটি নিরাপত্তার উদ্দেশ্যে এবং বাংলাদেশ থেকে যাতায়াত করা যাত্রীদের নথিপত্র পরীক্ষা করার জন্যও ব্যবহার করা হবে।