সূত্রের খবর, হামলাকারীরা মুসাখেল জেলার আন্তঃপ্রাদেশিক মহাসড়ক অবরোধ করে, যাত্রীদের ট্রাক ও বাস থেকে নামিয়ে দেয় এবং ১০টি গাড়িতে আগুন দেয়।
সহকারী কমিশনার নজীব কাকার পাকিস্তানি সংবাদপত্রকে জানিয়েছেন, যে নিহতরা সকলেই পাঞ্জাব প্রদেশের। মৃতদেহগুলিকে উদ্ধার করে করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য জরুরি পরিষেবা মোতায়েন করা হয়েছে। আহতদেরও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বালোচিস্তানের মুখ্যমন্ত্রী সরফরাজ বুগতি এই হামলাকে ‘সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড’ বলে নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন এবং প্রতিশ্রুতি দেন যে প্রাদেশিক সরকার সন্ত্রাসীদের এবং তাঁদের সহযোগীদের বিচার নিশ্চিত করা হবে।
নিরাপরাধ যাত্রী
প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারি এবং প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ প্রাণহানির ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে হামলাকারীদের “জাতির শত্রু” বলে অভিহিত করেছেন। রাষ্ট্রপতি জোর দিয়েছিলেন যে হত্যাকাণ্ডের জন্য দায়ীদের অবশ্যই বিচারের মুখোমুখি হতে হবে।
আরও পড়ুন- একবার রাঁধলেই খেতে পারবেন সারা বছর! কোন সবজি, বলুন দেখি!
সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড সিকিউরিটি স্টাডিজ (সিআরএসএস)-এর একটি প্রতিবেদন অনুসারে, পাকিস্তানে বছরের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে হিংসার সঙ্গে সম্পর্কিত 380 জন নিহত এবং 220 জন আহত হয়েছেন। সন্ত্রাসী হামলা এবং সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান সহ 240টি ঘটনার কারণে হতাহতের সংখ্যা বাড়ছে বলে জানানো হয়েছে।
গত অক্টোবরে বালোচিস্তানের কেচ জেলার তুরবাতে অজ্ঞাতপরিচয় হামলাকারীরা পাঞ্জাবের ছয় শ্রমিককে হত্যা করে। পুলিশ হত্যাকাণ্ডগুলোকে ‘টার্গেট’ বলেই উল্লেখ করেছে। বাস থেকে নেমে যাত্রীদের গুলি করার ঘটনা জাতিবিদ্বেষ বলেই মনে করছে পুলিশ।