আরও পড়ুন- শুধু প্যারাসিটামল, অ্যাজিথ্রোমাইসিন নয়, বাড়তে পারে ডায়াবেটিসের এই সব ওষুধের দামও
রবিবার পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর (Imran Khan Update) বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব খারিজ করে দেন ডেপুটি স্পিকার। গতকালই তাঁর সমর্থকদের আস্থা ভোটের আগে রাস্তায় নামতে বলেছিলেন ইমরান খান। পাকিস্তান পিপলস পার্টির (Pakistan People's Party) নেতা বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি একটি ট্যুইট করে লিখেছেন, “সরকার সংবিধান লঙ্ঘন করেছে। অনাস্থা প্রস্তাবে ভোট দেওয়ার অনুমতি দেয়নি। ঐক্যবদ্ধ বিরোধী দল সংসদ ছেড়ে যাচ্ছে না। আমাদের আইনজীবীরা সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছেন।”
advertisement
ক্রিকেটের ২২ গজ থেকে সোজা রাজনীতির সুড়ঙ্গে ঢুকেছিলেন ইমরান খান (Imran Khan Update)। ১৯৯২ সালে পাকিস্তান প্রথম বিশ্বকাপ জেতে। বিশ্বকাপ জয়ী পাক ক্রিকেট দলকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন ইমরান। কিন্তু রাজনীতিতে এসে বারেবারেই টলমল করেছে মসনদ। যদিও কোনওবারই না লড়ে পিছিয়ে আসেননি ইমরান খান। সরকার পতনের আভাস মিলতেই শনিবার ইমরান জানিয়েছিলেন, “আগামিকালের (রবিবার) জন্য আমার একটা পরিকল্পনা রয়েছে, আপনারা এ নিয়ে চিন্তিত হবেন না। আমি সবাইকে দেখিয়ে দেব এবং বিধানভায় তাদের পরাজিত করব।” পদত্যাগ করতেও অস্বীকার করেন পাক প্রধানমন্ত্রী।
কিন্তু আজ সকালেই বিধানসভা অধিবেশন এড়িয়ে যান ইমরান (Imran Khan Update)। তাঁকে অপসারণের জন্য পাকিস্তানের বাইরের ‘ষড়যন্ত্রী’র বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের যে আহ্বান জানিয়েছিলেন ইমরান তাতে সাড়া দেন তাঁর সমর্থকরা।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার অভিযোগ তুলেছেন ইমরান খান। তাঁর অভিযোগ, বিরোধীরা তাঁকে অপসারণ করার জন্য ওয়াশিংটনের সঙ্গে মিলে ষড়যন্ত্র করছে। রাশিয়া ও চিনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক ইস্যুতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপের পক্ষ নেবেন না ইমরান খান, তাই তাঁকে সরকার থেকে সরিয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্র চলছে বলে দাবি করেছেন পাক প্রধানমন্ত্রী।
আরও পড়ুন- রবিবারে আবার বাড়ল পেট্রোল ডিজেলের দাম! ১৩ দিনে ১১ বার বাড়ল জ্বালানির মূল্য
ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (Pakistan Tehreek-e-Insaf party) গত সপ্তাহে ৩৪২ সদস্যের বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ জোটসঙ্গী দল জানিয়ে দেয় তাদের সাতজন সাংসদ বিরোধীদের হয়ে ভোট দেবেন। ক্ষমতাসীন দলের বারো জনেরও বেশি সাংসদও একই ইঙ্গিত দেন। ইমরান খানের পরাজয়ের জন্য ৩৪২ সদস্যের জাতীয় পরিষদের ১৭২ জন সদস্য প্রয়োজন ছিল বিরোধী দলগুলির এবং ইতিমধ্যেই তারা ১৭৭ সদস্যের সমর্থন দাবি করেছে, যা প্রধানমন্ত্রীকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য প্রয়োজনীয় শক্তির চেয়েও বেশি।
বিরোধী দলের নেতৃত্বে রয়েছে পাকিস্তান মুসলিম লিগ-এন (পিএমএল-এন) এবং পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি)। এই দু’টি দলই বিগত কয়েক দশক ধরে জাতীয় রাজনীতিতে আধিপত্য বিস্তার করে রেখেছিল। তাদের বিরুদ্ধে জোট গঠন করে, ২০১৮ সালে নয়া পাকিস্তান তৈরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় এসেছিলেন ইমরান।