TRENDING:

Hidden Treaure: মাঠে গিয়েছিলেন হাতুড়ি খুঁজতে, কোটি কোটি টাকার সোনা খুঁজে পেলেন বৃদ্ধ মালি

Last Updated:

রাতারাতি ভাগ্য বদলে যায় ইংল্যান্ডের বৃদ্ধের। অবশ্য তখনও পর্যন্ত জানতেন না, তিনি আবিষ্কার করেছেন চতুর্থ ও পঞ্চম শতকের রোমান সাম্রাজ্যের সবচেয়ে বড় সম্পদ ভাণ্ডারের

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
ল#ব্রিটেন: না, তিনি সেদিন মাঠে গুপ্তধন খুঁজতে যাননি বৃদ্ধ, গিয়েছিলেন তাঁর খোয়া যাওয়া হাতুড়িটির খোঁজে! সাফোক কাউন্টির ওক্সন গ্রামের বাসিন্দা এরিক লয়েস পেশায় মালি, অবসর নেওয়ার পর ৭০ বছরের লয়েসকে একটি মেটাল ডিটেক্টর উপহার দিয়েছিলেন স্ত্রী গেটা। অবসর জীবন, প্রচুর ফাঁকা সময়, এরিককে পেয়ে বসল এক অদ্ভুত নেশা! তিনি ফাঁকা সময়ে মেটাল ডিটেক্টর হাতে মাঠে মাঠে চষে বেড়ান গুপ্তধনের (Hidden Treaure) খোঁজে! কিন্তু সেদিন তিনি মেটাল ডিটেক্টরের সাহায্যে তাঁর হাতুড়িখানা খুঁজছিলেন, পতিবর্তে যা পেলেন, বৃদ্ধের হার্ট পিংপং বল-এর মতো লাফাতে লাগল, ভলিবলের মতো ডিগবাজিও খেয়ে নিল দু-চারবার! ষোলোশো বছরের পুরনো, রাশি-রাশি অমূল্য গুপ্তধনের হদিশ পেলেন এরিক লয়েস (Hidden Treaure)
advertisement

আরও পড়ুন: জনবহুল বাজারে ছিঁড়ে পড়ল বিদ্যুতের তার, মুহূর্তের মধ্যে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু ২৬ জনের !

১৯৯২ সালের ১৬ নভেম্বর ওই বিপুল সম্পত্তির খোঁজ পেয়েছিলেন এরিক  যার দৌলতে রাতারাতি ভাগ্য বদলে যায় ইংল্যান্ডের বৃদ্ধের। অবশ্য তখনও পর্যন্ত জানতেন না, তিনি আবিষ্কার করেছেন চতুর্থ ও পঞ্চম শতকের রোমান সাম্রাজ্যের সবচেয়ে বড় সম্পদ ভাণ্ডারের (Hidden Treaure)!

advertisement

এরিক খুঁজে পান কিছু রুপোর চামুচ আর বিপুল সংখ্যক স্বর্ণ মুদ্রা। তাঁর ভাষায়, '' মাঠে মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে আমার হারিয়ে যাওয়া হাতুড়িটি খুঁজছিলাম। আচমকাই এক জায়গায় মেটাল ডিটেক্টরে ‘বিপ’ করে শব্দ হল, আমি ভাবলাম বুঝি আমার হাতুড়ি, শুরু করলাম মাটো খোড়া! দেখি, কিছুটা নীচে একটা রুপোর  মুদ্রা। এক ফুটের মধ্যেই আরও এক বার ‘বিপ’ শব্দ পেলাম। সেখানে খোঁড়াখুঁড়ি করে কয়েকশো সোনা-রুপোর মুদ্রা ও চামচ হাতে আসে।’’

advertisement

আরও পড়ুন: পার্কে অবহেলায় পড়ে ৮ কোটির খাঁটি সোনার পাত্র, হতবাক স্থানীয়রা

এরিক সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ ও স্থানীয় পুরাতত্ত্ব বিভাগে জানান। খবর যায় সাফোক কাউন্টি কাউন্সিলেও। ঘটনাস্থলে ছুটে যান কাউন্সিলের প্রত্নতত্ত্ববিদ জুডিথ প্লভিয়েজ। একটি ওক কাঠের বাক্সে ঠাঁসা ছিল সোনাদানা-গয়নাগাঁটি। ধনসম্পদ উদ্ধারের পর তা পরিষ্কার করে যাচাই করার জন্য ব্রিটিশ মিউজিয়ামে পাঠানো হয়েছিল। পুরাতত্ব বিভাগের কর্মীরা সেই স্থানে খননকার্য চালিয়ে মোট ৬০ পাউন্ড রুপো ও সোনার দ্রব্য আবিষ্কার করেন। এর মধ্যে ছিল ১৫, ২৩৪ টি রোম্যান কয়েন, বেশ কিছু ডজন রুপোর চামচ, এছাড়াও নানা ধরণের সোনার জিনিস ছিল ২০০টি। ১৯৯২ সালে এই বিপুল পরিমাণ গুপ্তধনের আর্থিক মূল্য ছিল ১৭ লক্ষ ৫০ হাজার পাউন্ড। স্বাভাবিক ভাবেই আজ তার বাজারদর আরও বেশি। গুপ্তধন আবিষ্কার এবং সেটিকে গোপনে আত্মস্যাৎ না করার পুরস্কার হিসাবে এরিককে ব্রিটিশ সরকরের তরফে ১.৭৫ মিলিয়ন টাকা দেওয়া হয়।

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
পুরীর রথ এবার রঘুনাথপুরে, থিমে মন কাড়ছে আপার বেনিয়াসোলের দুর্গাপুজো মণ্ডপ
আরও দেখুন

কাউন্সিলের প্রত্নতত্ত্ববিদ জুডিথ প্লভিয়েজের দাবি, প্রায় ষোলোশো বছর আগে রোমান শাসনাধীন ব্রিটেনের কোনও ধনী পরিবার হয়তো একটি বাক্সের ভিতরে ওই ধনসম্পত্তি লুকিয়ে রেখেছিলেন। প্রসঙ্গত, খ্রিস্টপূর্ব ৪৩ থেকে পরের প্রায় ৪০০ বছর পর্যন্ত রোমানদের দখলে ছিল ব্রিটেন।

বাংলা খবর/ খবর/বিদেশ/
Hidden Treaure: মাঠে গিয়েছিলেন হাতুড়ি খুঁজতে, কোটি কোটি টাকার সোনা খুঁজে পেলেন বৃদ্ধ মালি
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল