TRENDING:

Marburg Virus: করোনার মধ্যেই নতুন আতঙ্ক মারবার্গ ভাইরাস! মারাত্মক ক্ষমতা, মিলল সন্দেহভাজন রোগীও

Last Updated:

Marburg Virus: করোনার বিপদের মধ্যেই ভয়ঙ্কর এই ভাইরাসের হানা। মিলল সন্দেহভাজন রোগীর হদিশও! চিন্তায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা!

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#ঘানা: ইবোলা এবং করোনার পরে এ বার মারবার্গ ভাইরাসের (Marburg Virus) হানা। সবথেকে বিপজ্জনক হিসেবেই পরিচিত এই ভাইরাস। ইতিমধ্যেই সন্দেহভাজন দুটি কেসের খোঁজ মিলেছে পশ্চিম আফ্রিকার ঘানায়।
মারবার্গ ভাইরাসের হানা
মারবার্গ ভাইরাসের হানা
advertisement

আসলে গত দু’বছর ধরে মারণ করোনা ভাইরাসের (Coronavirus) সঙ্গে যুঝতে হচ্ছে গোটা পৃথিবীকে। অতিমারীর জেরে প্রাণ হারিয়েছে বহু মানুষই। জনজীবন স্বাভাবিক ছন্দে ফিরলেও যে করোনা বিদায় নিয়েছে, সে কথা বলা যাবে না। কারণ এখনও নতুন নতুন রূপে হানা দিচ্ছে এই ভাইরাস। ফের বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যাও।

আরও পড়ুন: ধুতি দিয়ে বাধা, পুড়ে ছাই গোটা শরীর! পাশে কাগজে লেখা...শিউরে ওঠা ঘটনা রাণীচকে

advertisement

আবার করোনার আগে অবশ্য ইবোলা ভাইরাসের (Ebola Virus) প্রকোপ দেখা গিয়েছিল। সারা বিশ্বে না-হলেও আফ্রিকার কিছু অংশে ভয়ঙ্কর তাণ্ডবলীলা চালিয়েছিল অত্যন্ত মারণ এই ভাইরাস। এবার সেই ইবোলা ভাইরাসের শ্রেণির মারবার্গ ভাইরাসের চোখরাঙানিতে কাঁটা হয়ে আছেন বিশেষজ্ঞরাও। কারণ তাঁদের দাবি, এক বার এই ভাইরাসের কবলে পড়লে মৃত্যু অবশ্যম্ভাবী। আর এই ভাইরাস ইবোলা ভাইরাসের তুলনায় দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে। ফলে পশ্চিম আফ্রিকার ঘানায় দুই সন্দেহভাজন রোগীকে পাওয়ার পর কপালে ভাঁজ পড়েছে বিশেষজ্ঞদের। এমনকী প্রমাদ গুনছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও (World Health Organization)। তাই তারা ইতিমধ্যেই এই ভাইরাসের বিষয়ে সতর্কতাও জারি করেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, এর আগে ১৯৬৭ সাল থেকে বেশ কয়েক বার দক্ষিণ এবং পূর্ব আফ্রিকায় মারবার্গ ভাইরাসের ভয়ঙ্কর তাণ্ডবলীলা দেখা গিয়েছিল। আর এই ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর মৃত্যুর হার ২৪ থেকে ৮৮ শতাংশ। ফলে বোঝাই যাচ্ছে, মারবার্গ ভাইরাস কতটা ভয়ঙ্কর হতে পারে।

advertisement

আরও পড়ুন: প্রথম দিনই চমক, যাত্রীদের জন্য বিশেষ উপহার! যাত্রা শুরুর শিয়ালদহ মেট্রোর, চোখ ধাঁধানো ছবি...

এই বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিকেল রিসার্চ বা আইসিএমআর (ICMR)-এর প্রাক্তন মহানির্দেশক এন.কে. গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “এই ভাইরাসের সংক্রমণ দ্রুত গতিতে এক জনের দেহ থেকে আর এক জনের দেহে ছড়িয়ে পড়তে পারে। এটি ত্বকের স্পর্শের মাধ্যমেও ছড়াতে পারে। মারবার্গ আবার ইবোলা ভাইরাসের শ্রেণিরই ভাইরাস। তিনি আরও বলেন, “এই ভাইরাসের লক্ষণগুলি অনেকটা ফ্লু-এর মতোই। এই সংক্রমণ শনাক্ত করার জন্য প্রথমে রোগীর শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয় এবং সেই নমুনার সিকোয়েন্সিং হয়। যার মাধ্যমে টিস্যু কালচার করে ভাইরাসকে শনাক্ত করা হয়। তবে করোনা ভাইরাস আসার পর থেকে মানুষ এই ধরনের রোগ এবং ভাইরাস সম্পর্কে আগের তুলনায় অনেক বেশিই সতর্ক হয়ে গিয়েছে। বেড়েছে ট্রেসিংও। আর এই ধরনের ভাইরাস যাতে ছড়াতে না-পারে, তার জন্য এখন থেকেই নজরদারি প্রয়োজন।"

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
পুরীর রথ এবার রঘুনাথপুরে, থিমে মন কাড়ছে আপার বেনিয়াসোলের দুর্গাপুজো মণ্ডপ
আরও দেখুন

আবার মারবার্গ প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে ডা. এম ওয়ালি বলেন, অতীতেও মারবার্গ ভাইরাসের সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু এই ভাইরাসটি যেহেতু অত্যধিক সংক্রামক অর্থাৎ ইবোলার মতোই, তাই এটার প্রকোপ বাড়লে কিন্তু মুশকিল। বিশেষ করে করোনার প্রকোপের মধ্যে এই ভাইরাস সক্রিয় হলে বিপদ ঘনিয়ে আসবে। শুধু তা-ই নয়, এই সংক্রমণের চিকিৎসার জন্য কিন্তু কোনও অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ কিংবা ভ্যাকসিন এখনও পর্যন্ত আসেনি। তবে স্বস্তির বিষয় হল, আফ্রিকার বাইরের কোনও দেশের মানুষ এখনও পর্যন্ত এই ভাইরাসের সংক্রমণের কবলে পড়েনি। তবুও সকলকে এই ভাইরাস নিয়ে সতর্ক থাকতে হবে।”

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/বিদেশ/
Marburg Virus: করোনার মধ্যেই নতুন আতঙ্ক মারবার্গ ভাইরাস! মারাত্মক ক্ষমতা, মিলল সন্দেহভাজন রোগীও
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল