তাই নেটোর সদস্য দেশ হয়েও ইউক্রেনকে লেপার্ড ট্যাংক সরবরাহে এখনও সম্মত হয়নি তারা। জার্মান বিদেশ দফতর জানিয়েছে, তাদের মিত্র দেশগুলির মধ্যে ঐকমত্য হলে ইউক্রেনে লেপার্ড পাঠানো যাবে। জো বাইডেন সরকার সে দেশের সেরা সাঁজোয়া গাড়ি স্ট্রাইকার দেওয়ার কথা জানিয়েছিল। কিন্তু আমেরিকা এবং ইউরোপের একাধিক দেশের অনুরোধ সত্ত্বেও তাদের তৈরি লেপার্ড ট্যাঙ্ক কিভে পাঠাতে নারাজ জার্মানি।
advertisement
আরও পড়ুন - চিন সীমান্তে হঠাৎ উত্তেজনা! ড্রাগনকে ঠান্ডা রাখতে বিমান মহড়ার অনুশীলন শুরু ভারতের!
লেপার্ড হাতে পেলে ভলোদিমির জ়েলেনস্কির বাহিনীর পক্ষে রুশ টি-৯০ ট্যাঙ্কের মোকাবিলা করা অনেক সহজ হত। লেপার্ডের ১২০ মিলিমিটারের দূরপাল্লার এল-৩০ কামান বিধ্বংসী হামলা চালাতে পারতে রুশ ফৌজের উপর। পাশাপাশি, এই ট্যাঙ্কের এল৩৭এ২ বিমান বিধ্বংসী স্বয়ংক্রিয় কামান (অটোক্যানন) রুশ ড্রোন হামলারও মোকাবিলা করতে পারত।
শত্রুর উপর প্রতি আক্রমণেও এই সাঁজোয়া যান দক্ষ। এই প্রথম ইউক্রেন সেনাকে স্ট্রাইকার দিচ্ছে ওয়াশিংটন। পোল্যান্ডর কাছে লেপার্ড ট্যাংক থাকলেও তারা সেই অস্ত্র পাঠাতে পারবে না ইউক্রেনে। কারণ সে ক্ষেত্রে জার্মানির অনুমতির প্রয়োজন আছে।
তাছাড়া রাশিয়া স্পষ্ট করে দিয়েছে পশ্চিম দেশগুলো যত বেশি আধুনিক হাতিয়ার দেবে ইউক্রেনকে, ততই পরমাণু যুদ্ধের আশঙ্কা বেড়ে যাবে। রাশিয়া এখনও নিজেদের ক্ষমতার অর্ধেক ব্যবহার করেনি, ইউক্রেন যুদ্ধে। সেটা করতে চায় না তারা। কিন্তু পশ্চিম দেশগুলোর রাশিয়া বিরোধিতা আর কতদিন মস্কো সহ্য করবে এর গ্যারান্টি নেই।
রাশিয়ার ঝুলিতে এমন অনেক হাইপারসনিক মিসাইল এবং আধুনিক অস্ত্র রয়েছে যা আমেরিকা এবং ইউরোপের সব দেশের নেই। তাই ইউক্রেনকে শক্তিশালী লেপার্ড ট্যাংক দিয়ে নিজেদের বিপদ ডেকে আনতে রাজি নয় জার্মানি।